মহীতোষ গায়েন, মফস্বল সম্পাদক, পশ্চিমবঙ্গ :

 শান্তির জন‍্য নোবেল পেলেন দুই সাংবাদিক, ন‍্যায়,সত‍্য ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নিরলস লড়াইয়ের পুরস্কার।সৃষ্টি হলো নব ইতিহাস। অভিনন্দন, শুভেচ্ছা আপনাদের।

ঘোষণা করা হয়েছে ২০২১ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম। চলতি বছর যৌথভাবে বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মানজনক এ পুরস্কার জিতেছেন মারিয়া রেসা এবং দিমিত্রি মুরাতভ নামের দুই সাংবাদিক। 

শুক্রবার (৮ অক্টোবর) ভারতের সময় বিকেল ২টা ৩০ মিনিটে নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেছে নোবেল কমিটি।

শান্তিতে নোবেল পাওয়া মারিয়া রেসা ফিলিপাইন বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিক ও লেখক। তিনি ফিলিপাইনের অনলাইন নিউজ ওয়েবসাইট র‍্যাপলারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় দুই দশক পার করেছেন তিনি।

অন্যদিকে, দিমিত্রি মুরাতভ একজন রুশ সাংবাদিক এবং দেশটির সংবাদপত্র নোভায়া গাজেতার প্রধান সম্পাদক।

হামলা, হুমকি ও কারাবাসের মুখে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায় সাহসিকতার জন্য মুরাতভ ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক প্রেস ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন।

নোবেল কমিটির সভাপতি বেরিট রেইস এন্ডারসন বলেন, ‘গণতন্ত্র ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পূর্বশর্ত—মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় প্রচেষ্টার জন্য তাঁদের দুজনকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।’

১৯০১ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী শান্তিপ্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। মাঝে বিশ্বযুদ্ধের বছরগুলোতে পুরস্কার দেওয়া বন্ধ ছিল। ২০২০ সাল পর্যন্ত মোট ১০১বার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। আর এ পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ১৩৫ বিজয়ী, যাদের মধ্যে রয়েছেন ১০৭ জন ব্যক্তি ও ২৮টি প্রতিষ্ঠান।

এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তিনবার শান্তিতে নোবেল পেয়েছে রেড ক্রস (১৯১৭, ১৯৪৪ ও ১৯৬৩ সালে)। এছাড়া জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর পেয়েছে দুবার (১৯৫৪ ও ১৯৮১ সালে)।

গত বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বা ডব্লিউএফপি। ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই, যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলগুলোতে পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং ক্ষুধাকে যুদ্ধ-সহিংসতার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার বন্ধের চালিকাশক্তি হিসেবে অবদান রাখায় সম্মানজনক এ পুরস্কার দেওয়া হয় জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থাটিতে।

এর আগের বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালে শান্তিতে নোবেল জেতেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ও দেশটির মধ্যে জাতিগত সংঘাত নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় এ পুরস্কার পান তিনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে