স্পোর্টস ডেস্ক:
প্রথম দিনের মতো ক্যান্ডি টেস্টের দ্বিতীয় দিনটাও দুর্দান্ত কাটছে বাংলাদেশের। গতকালই দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে অপরাজিত ছিলেন শান্ত। আজ সেই পথে হেঁটে সেঞ্চুরি পেয়েছেন মোমিনুলও। তবে দ্বিতীয় সেশনেই পর পর সাজঘরে ফিরেছেন দুজনেই। যাতে ৪২৪ রানেই চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
ইনিংসের ১৪০তম ওভারে ধনাঞ্জয়ার শিকার হয়ে স্লিপে ধরা পড়েন মোমিনুল হক সৌরভ। তার আগে ৩০৩টি বল খেলে ১১টি চারের সাহায্যে অধিনায়ক করেন ১২৭ রান।
এর আগে লাঞ্চের ঠিক পূর্ব মুহূর্তেই ওই ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে চার মেরেই নিজের ১১তম শতক পূর্ণ করেন টাইগার ক্যাপ্টেন। যাতে সাড়ে তিনশ ছাড়ায় বাংলাদেশের স্কোর। ওই ওভারের পঞ্চম বলে ডি সিলভাকে কাট করে চার আদায় করেন মোমিনুল হক সৌরভ। পৌঁছে যান তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে। নিজের ১১তম শতকটি পেতে মোমিনুলকে মোকাবেলা করতে হয়েছে ২২৫টি বল, যার মধ্যে ৯টিকে পাঠিয়েছেন বাউন্ডারিতে।
অন্যপ্রান্তে থাকা নাজমুল হোসাইন শান্তও পূরণ করেন নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম দেড়শ রান। ১১৩তম ওভারে সেই ডি সিলভাকেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩৪৫ বল মোকাবেলায় ১৫০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন শান্ত। পরে দ্বিশতকের লক্ষ্যে ছুটতে গিয়ে থামেন ১৬৩ রানেই। ১২৫তম ওভারে লাহিরুর করা প্রথম বলেই তাকে রিটার্ন ক্যাচ দেন শান্ত।
ফলে থেমে যায় তার ৩৭৮ বলের ম্যারাথন ইনিংসটি। ফেরার আগে ১৭টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে সাজান তার এই অনবদ্য ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি। একইসঙ্গে তৃতীয় উইকেটে মোমিনুলের সঙ্গে গড়েন রেকর্ড ২৪২ রানের জুটিও। যাতে বড় স্কোর গড়ার ভিত পায় বাংলাদেশ।
এর আগে তামিম ইকবাল ও মোমিনুল হকের সঙ্গে জুটি বেঁধে সেশন বাই সেশন ধরে অসাধারণ একটা ইনিংস খেলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। তামিমও পৌঁছে গিয়েছিলেন শতকের একেবারে কাছে। যদিও ব্যক্তিগত ৯০ রানের মাথায় বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে আত্মাহুতি দেন স্লিপে ক্যাচ দিয়ে।
প্রথম দিনের শুরুতে ওপেনার সাইফ হাসান কোনও রান না করে ফিরলেও বাকি দিনে আর বাজে পরিস্থিতি দেখতে হয়নি বাংলাদেশকে। নাজমুল হোসেন শান্ত তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম শতক। মুমিনুলও ছিলেন শতকের পথেই। দিন শেষে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ২ উইকেটে ৩০২ রান।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে পাল্লেকেলেতে শান্ত ১২৬ রানে থেকে আর মোমিনুল ৬৪ রানে থেকে টেস্টের দ্বিতীয় দিন শুরু করেন।