লিবিয়ায় মানবপাচারের শিকার হতভাগ্য ২৬ বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। 

এছাড়া এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মানবপাচারের আরও ১৩টি মামলা তদন্ত করছে সংস্থাটি। এরইমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সিআইডি প্রধান জানিয়েছেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত শেষেই নির্ভুল চার্জশিট দেয়া হবে।

গত ২৮ মে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলি থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে মিজদা অঞ্চলে ২৬ বাংলাদেশীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ইউরোপ গিয়ে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন ছিল এদের। সেই স্বপ্নের মৃত্যু হয় মানপাচারকারী চক্রের হাতে পড়ে।

ঘটনার পর স্থানীয় মানব পাচরকারীদের বিরুদ্ধে সারা দেশে ২৬টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে দুটি মামলা দায়ের করে সিআইডি। এরই মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে ৪৩ জন। তাদের ২২ জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীও দিয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

সিআইডি প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান জানান, গত কয়েকদিন যাবত আমরা চেষ্টা করছি গ্রেফতার করার জন্য। তাদেরকে যদি অ্যারেস্ট করতে পারি এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে যদি নতুন নাম আসে সেখানে হয়তো আরেকটু বাড়বে।

সন্দেহভাজন অনেককে গোয়েন্দা নজরদারীতে রাখা হয়েছে। সব তথ্যের সত্যতা যাচাই করেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান সিআইডি প্রধান।

সিআইডি প্রধান আরও বলেন, তারা কাদেরকে কালেক্ট করলো, কে কোথায় নিয়ে গেল, কে টিকেট দিল, কোথা থেকে ফিরে আসলো- এই সবগুলোকে কালেক্ট করার জন্য যে ডকুমেন্ট দরকার হয় সেই ডকুমেন্টগুলো কালেক্ট করা আমাদের খুব বড় চ্যালেঞ্জ হয়। তারপরও আমরা যে কয়টা মামলা নিয়েছি, সে মামলাগুলো নিয়ে স্পেশালাইড কাজ করছি। আমরা আশা করছি, তাদেরকে অ্যারেস্ট করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও অনেক লোকের নাম আসতে পারে।

সমন্বিত চেষ্টায় মানব পাচারকারী চক্রের শেকড় উদপাটন সম্ভব বলে মনে করেন সংস্থাটির প্রধান।
ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের ইনভেস্টিগেশন, আপনাদের অ্যাওয়ারনেস, মিনিস্ট্রিরির কিছু প্রিভেনটিভ রেজাল্ট- এসব কিছু মিলে ভাল একটা পর্যায়ে আমরা আসবো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে