উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীতে গত দুই দিন ধরে থেমে থেমে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। তবে বুধবার ভোররাত থেকে শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত। আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। বাতাসের চাপ না বাড়লেও অমাবশ্যার জোয়ারের প্রভাবে নদ-নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তাল রয়েছে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর। লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হতে পারে এবং উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই পটুয়াখালীর পায়রাসহ দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মাছধরা ট্রলার সমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২৮ মে) দেখা যায়, পুরো উপকূল জুড়ে চলছে গুঁড়ি গুঁড়ি ও মাঝারি বৃষ্টি। বৃষ্টির প্রভাবে কিছুটা দুর্ভোগ বেড়েছে সাধারণ জনজীবনে। তবে আবহাওয়া আরও খারাপ হতে পারে বলে ধারণা আবহাওয়া অফিসের।
কুয়াকাটা পৌর মৎস্য আড়ৎদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম খান বলেন, আবহাওয়া খারাপ হবে এমন সংবাদ আমরা আগেই পেয়েছি। তবে এবার আবহাওয়া খারাপের খবরে আমরা আতঙ্কিত নই। কারণ বর্তমানে সমুদ্রে মৎস্য অধিদপ্তরের জারি করা ৫৮ দিনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলছে। তাই বর্তমানে সমুদ্র ও নদীতে আমাদের কোনো জেলে নেই। তাই আবহাওয়া খারাপের খবরেও আমরা আতঙ্কিত নই।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) লতাচাপলী ইউনিয়ন টিমলিডার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া অফিস আমাদের সর্বশেষ জানিয়েছে সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং আমরা জানি গভীর সমুদ্রে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় শক্তি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমরা উপকূলীয় এলাকার (সিপিপির) সব টিম যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।