Dhaka ০৯:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দান বাংলাদেশের ‘অসাধারণ’ উদারতা-যুক্তরাজ্য

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:০৯:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অগাস্ট ২০২০
  • 133

যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দান করার বিষয়টিকে বাংলাদেশের ‘অসাধারণ’ উদারতা হিসবে আখ্যা দিয়েছে। তারা রাখাইন প্রদেশ থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদেরকে তাদের বাড়িতে নিরাপদে, স্বেচ্ছায় এবং সম্মানজনকভাবে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।

বাংলাদেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় গ্রহনের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে ব্রিটিশ হাইকমিশন আজ এক বিবৃতিতে বলেছে, আজ আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয়দান করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের অসাধারণ উদারতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। যুক্তরাজ্য প্রতিকূলতার মুখে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবিশ্বাস্য সহিষ্ণুতা, সাহস এবং দৃঢ়তার স্বীকৃতি প্রদান করে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা মিয়ানমারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য জবাবদিহিতার জন্য আহ্বান জানিয়ে যাব এবং রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য চাপ দেব।

২০১৭ সালে সংকটের শুরু থেকে যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জরুরি জীবন বাঁচানো এবং জীবনযাত্রা চালিয়ে যাওয়ার এবং আশ্রয়দানকারী সম্প্রদায়ের উপর চাপ কমাতে তাদের সহায়তা প্রদানের বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

যুক্তরাজ্য গত তিন বছরে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটে সহায়তা প্রদানে সাড়া দিয়ে ২৫৬ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশী প্রদান করেছে এবং রোহিঙ্গা সঙ্কটে সাড়া দিতে অব্যাহত প্রয়াস চালিয়ে যেতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আমরা উদ্ভুত চাহিদা মূল্যায়ন করতে এবং তাৎক্ষণিক সাড়া দিতে বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক অংশীদার এবং আশ্রদানকারী সম্প্রদায়ের সঙ্গে একত্রে কাজ করে যাব।

বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলায় ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। তাদের অধিকাংশই মিয়ানমারে সামরিক অভিযানের পর সেখানে এসে আশ্রয় নিয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দান বাংলাদেশের ‘অসাধারণ’ উদারতা-যুক্তরাজ্য

Update Time : ০৬:০৯:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অগাস্ট ২০২০

যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দান করার বিষয়টিকে বাংলাদেশের ‘অসাধারণ’ উদারতা হিসবে আখ্যা দিয়েছে। তারা রাখাইন প্রদেশ থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদেরকে তাদের বাড়িতে নিরাপদে, স্বেচ্ছায় এবং সম্মানজনকভাবে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।

বাংলাদেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় গ্রহনের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে ব্রিটিশ হাইকমিশন আজ এক বিবৃতিতে বলেছে, আজ আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয়দান করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের অসাধারণ উদারতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। যুক্তরাজ্য প্রতিকূলতার মুখে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবিশ্বাস্য সহিষ্ণুতা, সাহস এবং দৃঢ়তার স্বীকৃতি প্রদান করে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা মিয়ানমারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য জবাবদিহিতার জন্য আহ্বান জানিয়ে যাব এবং রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য চাপ দেব।

২০১৭ সালে সংকটের শুরু থেকে যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জরুরি জীবন বাঁচানো এবং জীবনযাত্রা চালিয়ে যাওয়ার এবং আশ্রয়দানকারী সম্প্রদায়ের উপর চাপ কমাতে তাদের সহায়তা প্রদানের বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

যুক্তরাজ্য গত তিন বছরে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটে সহায়তা প্রদানে সাড়া দিয়ে ২৫৬ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশী প্রদান করেছে এবং রোহিঙ্গা সঙ্কটে সাড়া দিতে অব্যাহত প্রয়াস চালিয়ে যেতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আমরা উদ্ভুত চাহিদা মূল্যায়ন করতে এবং তাৎক্ষণিক সাড়া দিতে বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক অংশীদার এবং আশ্রদানকারী সম্প্রদায়ের সঙ্গে একত্রে কাজ করে যাব।

বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলায় ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। তাদের অধিকাংশই মিয়ানমারে সামরিক অভিযানের পর সেখানে এসে আশ্রয় নিয়েছে।