বর্ষাকালের গুমট গরমে হাসফাঁস অবস্থা সকলেরই। যাদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে ধূলো, ময়লা, গরমের কারণে তাদের অবস্থা আরও শোচনীয়। হাঁপানি একটি শ্বাসকষ্ট সম্বলিত রোগ। কার্যতঃ এটি শ্বাসনালীর অসুখ। এর ইংরেজি নাম অ্যাজমা যা এসেছে গ্রিক শব্দ Asthma থেকে। বাংলায় হাঁপানি। যার অর্থ হাঁপান বা হাঁ-করে শ্বাস নেয়া। সঠিকভাবে চিকিৎসা না করালে ভোগান্তির শেষ থাকে না। হাঁপানি রোগের কারণ জেনে তার থেকে দূরে থাকলেই অনেকটা রোগ নিরাময় করা সম্ভব।

এ রোগ থেকে বাঁচতে প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। জেনে নিন কীভাবে খাবেন পেঁয়াজ।

১. পেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গেই পেঁয়াজে থাকা ভিটামিন সি ও সালফারের কারণে যেকোনও ব্যাকেটিয়াল, ভাইরাল ইনফেকশন কমাযতে পারে পেঁয়াজ। ফ্লাভনয়েডের ফর্মে থাকা থিওসালফিনেট, অ্যান্থোসায়ানিন অ্যাস্থমার মতো অ্যালার্জি সারিয়ে তোলে।

২. কী কী লাগবে – পেঁয়াজ-আধ কেজি। মধু-৬ থেকে ৮ টেবল চামচ। ব্রাউন সুগার-সাড়ে ৩০০ গ্রাম। লেবু-২টা টাটকা, পানি ৫ থেকে ৬ গ্লাস

৩.কীভাবে বানাবেন – চিনি গরম করে গলিয়ে নিন। এর মধ্যে কুচনো পেঁয়াজ দিয়ে নাড়তে থাকুন। এবার পানি ঢেলে দিন। পানি যখন টেনে নিন এক তৃতীয়াংশ হবে তখন আঁচ থেকে নামিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করে লেবুর রস ও মধু মেশান। কাচের জারে ঢেলে রাখুন।

৪. কীভাবে খাবেন – প্রাপ্তবয়স্করা প্রতিদিন ১ টেবিল চামচ ও ছোটরা রোজ ১ চা চামচ করে খাওয়ার আগে খান।

উল্লেখ্য, হাঁপানি রোগের সঙ্গে অ্যালার্জির সম্পর্ক রয়েছে। বেশির ভাগ হাঁপানি রোগীর নানা বস্তু ও খাবারে অ্যালার্জি থাকে। অনেক সময় দেখা যায়, ধুলাবালু বা ঠান্ডা খাবার এ ধরনের রোগীর শ্বাসকষ্ট ও অন্যান্য উপসর্গ বাড়িয়ে দেয়। তাই প্রত্যেক হাঁপানি রোগীর জানা উচিত, তার কী খাবারে অ্যালার্জি আছে বা কী ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে