বাংলাদেশের “সেরা লাক্সারি” হোটেলের স্বীকৃতি পেলো রেনেসন্স্ ঢাকা গুলশান হোটেল। ২০২০-২০২১ সালের দ্যা এশিয়া প্যাসিফিক ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাওয়ার্ডে এই স্বীকৃতি পায় হোটেলটি। ২০১৯ সালের ১৮ই ডিসেম্বর চালু হওয়া রেনেসন্স্ ঢাকা গুলশান হোটেলটি প্রথম কোন বাংলাদেশী হোটেল এই মর্যাদাপূর্ণ “সেরা লাক্সারী” হোটেল হিসেবে স্বীকৃতি পেলো।
ইন্টারন্যাশনাল প্রোপার্টি মিডিয়ার উদ্যোগে দ্যা এশিয়া প্যাসিফিক ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। ৮০ জন বিশেষজ্ঞের নিয়ে গঠিত প্যানেল এই অ্যাওয়ার্ড নির্বাচনে বিচারকদের দায়িত্ব পালন করেন।
সারা বিশ্ব জুড়ে ছয়টি অঞ্চল ও ১৭টি ক্যাটাগরিতে হসপিটালিটি শিল্পে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এই অ্যাওয়ার্ড বিশ্ব জুড়ে হোটেলগুলোর মানের স্বীকৃতির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত।
ডাঃ এইচ বি এম ইকবাল প্রিমিয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং প্রিমিয়ার হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি বাংলাদেশে রেনেসন্স্ ঢাকা গুলশান হোটেল পরিচালনা করছে।
এই স্বীকৃতি পাওয়ায় প্রিমিয়ার হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির চেয়ারম্যান ডাঃ এইচ বি এম ইকবাল ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মইন ইকবাল বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ছিলো লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ম্যারিওটের মান বজায় রেখে অতিথীদের লাক্সারি সেবা উপভোগের আয়োজন করা। আমরা সত্যিকার ভাবে প্রতিটি মূহুর্তের ম্যারিওটের সেরা অংশীদার হয়ে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি এবং আমাদের অতিথীদের জন্য আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা দিতে কাজ করে যাচ্ছি। আর এমন সময় এ স্বীকৃতি আমদেরকে আরও অনুপ্রানিত করবে”।
বাংলাদেশী প্রিমিয়ার হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ২০১০ সালে ডাঃ এইচ বি এম ইকবাল প্রিমিয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান ও মইন ইকবাল ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এর হাত ধরে যাত্রা শুরু করে। বাংলাদেশী প্রিমিয়ার হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি সফলতায় যুক্ত হয়েছে সদ্য স্বীকৃতি প্রাপ্ত হোটেল, ব্যানকুয়েট হল, খাবারের রেস্টুরেন্ট সহ আরও নানান সুযোগ সুবিধা।
প্রিমিয়ার গ্রুপের দীর্ঘ ৪০ বছরের পথচলায় তার সমস্ত ক্রেতা, বিনিয়োগকারী এবং অংশীদারদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করে আসছে এবং তারই ধারাবাহিকতায় স্বীকৃতি স্বরুপ প্রিমিয়ার ব্যাংক একটি আন্তর্জাতিক সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সাফল্যর সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এগুলো ছাড়াও, প্রিমিয়ার হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিতে যুক্ত আছে হিলটন ঢাকা হোটেল, যা খুব শীঘ্রই সবার সামনে আসবে।
রেনেসন্স্ ঢাকা গুলশান হোটেল এর মহা ব্যবস্থাপক আজীম শাহ্ বলেন, “আমরা যখন আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছি, তখন থেকেই আমাদের লক্ষ্য ছিলো এই খাতে নেতৃত্ব দেওয়ার, সেরা হওয়ার। এজন্য অতিথীদের আন্তর্জাতিক মানের সেবা দিতে কাজ করছি। আমাদের এই প্রচেষ্টা বিশ্বজুড়ে ভ্রমনকারীদের এক অনন্য অভিজ্ঞতা দেবে”।
তিনি আরও বলেন, “আমরা গর্বিত এবং খুবই আনন্দিত এমন একটি সম্মানসূচক স্বীকৃতি পেয়ে। যা আমাদের সবার কাজের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দিবে এবং আমরা আমাদের অতিথীদের জন্য আরও নতুন নতুন সেবা প্রদানে দ্বিগুন উদ্যোগে কাজ করে যাবো” ।