রূপসা প্রতিনিধি  :
রূপসায় জনদুর্ভোগ লাঘবে এগিয়ে এলেন একজন ভ্যান চালক। ভ্যান চালিয়ে উপর্জিত অর্থ দিয়ে সংস্কার করছেন রাস্তার খানা-খন্দক।
তার এই মানবিক কর্মকান্ডে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করতে এগিয়ে এসেছেন অন্যান্য ভ্যান চালকরা। নিজেরাই সিমেন্ট-বালুর সাথে খোয়া মিশিয়ে দিচ্ছেন ঢালাই।
উপজেলার পূর্ব রূপসা থেকে রহমতনগর ও কাষ্টম ঘাট যাতায়াতের রাস্তার পরিত্যাক্ত রেল স্টেশন থেকে নামার স্থানটি ডেবে গিয়ে সৃষ্টি হয় বড় গর্তের। সাইকেল, ভ্যান ও মোটরসাইকেলসহ ছোটখাটো যানবহনে যাত্রীদের চলাচলে সৃষ্টি হয় মারাত্মক দুর্ভোগের। সামান্য বৃষ্টি হলেই এখানে জমে থাকে পানি। দীর্ঘদিন যাবৎ এই অবস্থা বিরাজমান থাকলেও সমাধানে এগিয়ে আসেনি কোন জনপ্রতিনিধি। অবশেষে জনদুর্ভোগ লাঘবে এগিয়ে আসেন নৈহাটী এলাকায় বসবাসকারী ভ্যান চালক নাসির হোসেন। ২১ জুন সাকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নিজের উপার্জিত অর্থ দিয়ে বালু, সিমেন্ট ও খোয়া কিনে নিজ হাতে শুরু করেন সেখানে ঢালইয়ের কাজ। তার এই কাজ বাস্তবায়নে এগিয়ে আসেন অন্যান্য ভ্যান চালকরা। এদিকে ভ্যান চালকের মানবিক কর্মকান্ডে সাড়া পড়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে। অনেকেই দিচ্ছেন তাকে বাহবা। ভ্যান চালক নাসির এর আগেও স্বেচ্ছায় নিজ অর্থে সড়ক সংস্কার করেছেন বলে জানান সাধারণ ভ্যান চালকরা।
ভ্যান চালক নাসির হোসেন বলেন ভ্যানে করে যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে আমাদের ভ্যান চালকরা খুবই সমস্যায় পড়ে। যাত্রীরাও আঘাত প্রাপ্ত হয়। অনেক সময় ভ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব নানা কারণে নিজ উদ্যোগে এখানে উচু করে ঢালাই দিচ্ছি। তিনি বলেন এই কাজের জন্য আমি কারো কাছে টাকা পয়সা চাইনি। তারপরও দুইজন আমাকে পাচ’শ টাকা দিয়ে সহযোগীতা করেছে। শুধু যে এখানে কাজ করছি তা নয়। এর আগে পূর্ব রূপসা বাসস্ট্যান্ডে ২হাজার ৭০০ টাকা খরচ করে সেখানে সৃষ্টি হওয়া গর্ত ঢালাই দেই। তিনি আরো বলেন এসব মানবিক কাজ করতে আমার ভালো লাগে। টাকা থাকলে আরো করতাম। কিন্ত এর চেয়ে বেশি করারতো আমার সামর্থ নেই।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে