রূপসা প্রতিনিধি :
 রূপসার সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ এর অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আব্দুল্লাহ হাবিবের বিরুদ্ধে আর্থিক দূর্নীতিসহ নানাবিধ অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে কলেজের শিক্ষকবৃন্দের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক দপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগের পাশাপাশি এবার শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে জুয়েল সরদার স্বাক্ষরিত অভিযোগে বলা হয়েছে, বর্তমানে কলেজটিতে বিভিন্ন শাখায় ও স্তরে প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছে। কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আব্দুল্লাহ হাবিব জামায়াত-শিবিরেরই পেতাত্ত্বা হয়ে বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া ছাত্রলীগকে হেয় করে সর্বদা অসহযোগিতা করেন। আওয়ামীলীগকে ভালোবাসেন এমন শিক্ষকদের তিনি প্রতি নিয়ত বিভিন্নভাবে হেনস্থা করেন। বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালনে বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিবস, শেখ রাসেল দিবসসহ সরকার কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচি পালনে অনিহা প্রকাশ করে থাকেন। বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ ও তিরস্কার করে কথা বলেন। ইতিমধ্যে তিনি কলেজ থেকে বিভিন্ন খাত হতে টাকা আত্মসাত করেন। শিক্ষকরা সকলেই বিষয়টি জানেন। এছাড়াা তার আমলে সরকারি বাজেটের টাকা উত্তোলন করে মালামাল ক্রয় না করে তার নামে ব্যক্তিগত একাউন্টে টাকা রেখে ইচ্ছামত ব্যক্তিগত কাজে খরচ করে থাকেন। ২৮/০৩/২০২১ তারিখে সরকারি বাজেটের ২,০৩,৩১০/- টাকা উত্তোলন করে ০১/০৪/২০২১ তারিখে রূপালী ব্যাংক লিঃ রাজাপুর শাখায় নিজের নামে হিসাব নং-১২৫৭৮ একাউন্ট খুলে সেখানে ১,৮৮,০০০/- টাকা জমা রাখেন এবং পরবর্তীতে ১০/০৬/২০২১ তারিখ ও ০৯/০১/২০২২ তারিখে সরকারি বাজেটের ৪,৪০,৭৮৫/- টাকা ৬,২২,,২৭৮/- টাকা উত্তোলন করে এর মধ্য থেকে ৫,৫৬,৩৮০/- টাকা নিজের ঐ একাউন্টে জমা রাখেন। তিনি গত ১৭/০৪/২০২২ তারিখে ঐ একাউন্ট হতে এককালিন ২,৮১,৮২০/- টাকা উত্তোলন করেন এবং পরবর্তী মাসে বিদেশ সফর করেন। আমরা ধারণা করছি তিনি কলেজের সরকারি বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করে বিদেশ সফর করেছেন। উনি বলেছেন যাবার সময় একাউন্টে যে টাকা থাকবে সে টাকা উনি তুলে নিয়ে যাবেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে জোর দাবী জানান সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এব্যাপারে ওই কলেজে অধ্যায়নরত এক ছাত্রলীগ কর্মী বলেন স্যার (অধ্যক্ষ) এক কোরআনের হাফেজ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। তাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আব্দুল্লাহ হাবিব মুঠো ফোনে বলেন সততাও নিষ্ঠার সাথে আমি আমার দায়িত্ব পালন করছি। আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা। কলেজের সাবেক অফিসার ইনচার্জ সরদার ফেরদৌস সাহেব তার ভাই বর্তমান প্রভাষক কামরুল সরদারকে অধ্যক্ষের চেয়ারে বসানোর জন্য আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে