স্পোর্টস ডেস্ক:
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠেছে চেলসি। টমাস টুখেলের ছোঁয়ায় ১৩ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে ৯ বছর পর ফাইনাল নিশ্চিত করলো চেলসি।
বুধবার (৫ মে) রাতে সেমিফাইনাল দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদকে ২-০ গোলে হারিয়েছে চেলসি। প্রথম লেগে রিয়ালের মাঠে ১-১ ড্র করে ফেরা ইংলিশ দলটি দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ অগ্রগামিতায় ফাইনালের টিকেট কাটল।
অবশ্য রিয়াল মাদ্রিদের জন্য চেলসির পাশাপাশি বড় বাঁধা ছিল তাদের কোচ টমাস। জার্মান এই কোচের বিপক্ষে জিনেদিন জিদান কখনোই জিততে পারেননি। ২০১৬ সাল থেকে পাঁচবারের দেখায় হয়েছিলেন পরাজিত। ষষ্ঠবারেও পারেননি সেই পরিসংখ্যান বদলাতে।
পুরো ম্যাচে চেলসির একচ্ছত্র আধিপত্য দেখা যায়। মাত্র এক-তৃতীয়াংশ সময় বল দখলে রেখেও প্রায় পুরোটা সময়ই প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় তারা। গোলের উদ্দেশে মোট ১৫টি শট নেয় দলটি, এর পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে।
ঘরের মাঠ স্টামফোর্ড ব্রিজে রাতে চেলসি প্রথমার্ধে একটি ও দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোল করে। রিয়াল বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেও সেগুলো থেকে গোল আদায় করে নিতে পারেনি।
ঘরের মাঠে ম্যাচের ১৮তম মিনিটেই বেন কাহিলের ক্রস থেকে জালে বল জড়িয়েছিল চেলসির টিমো ওয়ার্নার। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়। এরপর করিম বেনজেমা গোল করে ফেলেছিলেন প্রায়। কিন্তু তার নেওয়া শট চেলসির গোলরক্ষক ইডুয়ার্ডো মেন্ডি বামদিকে ঝাপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন।
২৮তম মিনিটের মাথায় লিড নেয় চেলসি। এ সময় ব্লুজদের কাই হাভেটজ রিয়ালের গোলরক্ষক থিবাউট কোর্তোয়ার মাথার ওপর দিয়ে বল পাস করেন। কিন্তু সেটি বারে লেগে ফিরে আসে। ফিরে আসা বলে হেড দিয়ে ফাঁকা পোস্টে জড়ান ওয়ার্নার। তার গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ইংলিশ ক্লাবটি।
বিরতির পর চেলসি আরও উজ্জীবিত পারফরম্যান্স দেখায়। সে তুলনায় রিয়াল ছিল কিছুটা নির্জীব। সুযোগ তৈরি করে চলে চেলসি। ৮৫তম মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। এ সময় ডানদিক থেকে পুলিসিক বক্সের মধ্যে বল বাড়িয়ে দেন ম্যাসন মাউন্টকে। তিনি কাছ থেকে ডান পায়ের শট বল জালে পাঠান।
তাতে ২০১১-১২ আসরে বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এই প্রথম প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে উঠল চেলসি।
২৯ মে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে ফাইনালে মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার সিটি ও চেলসি।