রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। সেই সাথে দেখা দিয়েছে পারকিনসন রোগের লক্ষণও।
এজন্য গত ফেব্রুয়ারিতে তার জরুরি অপারেশন করা হয়েছে। এই কারণে আগামী বছরের শুরুতে ক্ষমতা ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন পুতিন।
রাশিয়ার রাজনৈতিক বিশ্লেষক ভ্যালেরি সলোভেইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর দিয়েছে দ্য সান। ভ্যালেরি সলোভেই হলেন রাশিয়ান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী। ইতিহাসবিদ ও পাবলিক রিলেশন্স ডিপার্টমেন্ট মস্কো স্টেট ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনের সাবেক প্রধান।
তিনি বলেছেন, ‘দ্বিতীয় ডায়াগনোসিসে তার পারকিনসন ধরা পড়ায় তা শারীরিক অবস্থার জন্য ভয়াবহ নয়। এর ফলে মানুষের জনসমক্ষে আসা সীমিত হতে পারে। কিন্তু আরেকটি ভয়াবহ রোগ ধরা হয়েছে তার, সেটি হলো ক্যান্সার।’
এদিকে ক্রেমলিনের পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের যেসব ফুটেজ দেখা গেছে তাতে মনে হয়েছে তার পারকিনসন রোগের লক্ষণ থাকতে পারে। এর পরই তার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার খবর এলো। তবে, সম্প্রতি টেলিভিশনে প্রচারিত একটি মিটিংয়ে পুতিনকে কাশতে দেখা যায়। এরপর এ সপ্তাহের শুরুর দিকে তার কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা নেই বলে জানিয়ে দেয় ক্রেমলিন।
ওই বৈঠকে করোনা ভাইরাস সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক ইস্যুতে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সামনে বক্তব্য রাখছিলেন পুতিন। কিন্তু তার কাশি আসায় বাক্য শেষ করতে পারছিলেন না। অনেক কষ্ট করতে হয় তাকে বাক্য শেষ করতে। পরে ওই ফুটেজ এডিট করা হয়েছে। তাতে পুতিনের কাশিকে স্বল্প মাত্রায় দেখানো হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার রাতে বিশ্লেষকরা দাবি করেছেন, ৬৮ বছর বয়সের প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করছেন তার বান্ধবী সাবেক জিমন্যাস্ট গ্লামারাস অ্যালিনা কাবায়েভা (৩৭)।
শিক্ষাবিদ ভ্যালেরি সলোভেই বলেছেন, পুতিনের বান্ধবী অ্যালিনা কাবায়েভা, তার মেয়ে মারিয়া ভোরোনস্টোভা (৩৫) ও ক্যাটেরিনা টিকোনোভাও তাকে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। তাই তিনি যে পরিবারে আছেন সেখানকার বড় একটি প্রভাব পড়বে তার ওপর। ফলে তিনি আগামী জানুয়ারিতে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিকল্পনা করে থাকতে পারেন।
এদিকে, পুতিনের পারকিনসন রোগ আছে, এ দাবি জোর দিয়ে অস্বীকার করেছে ক্রেমলিন। মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন সুস্থ আছেন। তার পদত্যাগের কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে পুতিনের ক্যান্সার ও জরুরি অপারেশনের বিষয় সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।