২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। দু বছর পেরিয়ে গেলেও এই যুদ্ধ থামার কোনো ইঙ্গিত লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

তবে ওয়াশিংটন পোস্টের বরাত দিয়ে রোববার এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির আলোচনা করতে সম্প্রতি কাতারের মধ্যস্থতায় দোহায় বৈঠক করতে রাজি ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন। কিন্তু রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইউক্রেনে আকস্মিক হামলা করায় এ প্রক্রিয়া ভেস্তে গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিয়েভ এবং মস্কো উভয়ই আক্রমণ বন্ধ করবে এমন একটি চুক্তিতে আলোচনার জন্য ইঙ্গিত দেয়। এই যুদ্ধ দুই দেশেই ব্যাপক দুর্ভোগ এবং অর্থনৈতিক অশান্তি সৃষ্টি করেছে।

কিন্তু রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল কুরস্কে আকস্মিক অনুপ্রবেশ করে হামলা করে ইউক্রেন। কিয়েভ সামরিক অভিযান জোরদার করায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় জল ঢেলে দিয়েছে।

ইউক্রেনের দাবি, কুরস্ক অঞ্চলের ৩৫ কিলোমিটার ভেতরে তাদের সৈন্যরা ঢুকে পড়েছে সেখানে তারা এক হাজার ১৫০ বর্গকিলোমিটার দখলে নিয়েছে তারা। এরমধ্যে ৮২টি বসতিও রয়েছে। এই হামলার ফলে গ্লুশকভো জেলায় সেইম নদীর একটি সেতু পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। হামলার ১১ দিন পরও রুশ ভূখণ্ডে অবস্থান করছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।

এখন স্বাভাবিকভাবেই কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধার এবং প্রতিশোধ নিতে ইউক্রেনে হামলা বাড়াবে রাশিয়া। সবমিলিয়ে এখনই ইউক্রেন যুদ্ধ থামার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ কূটনীতিক ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, কুরস্কে ইউক্রেন বাহিনীর হামলা অব্যাহত রাখার কারণে রুশ কর্মকর্তারা যুদ্ধবিরতির আলোচনার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। তারা কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করেছেন।

তবে সূত্রটি বলছে, রুশ কর্মকর্তারা আলোচনা বাতিল করার আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা এখন পর্যন্ত দেননি। তবে তারা অবস্থান পুনর্মূল্যায়নের জন্য সময় চেয়েছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে