Dhaka ০৭:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রামেকের আইসিইউতে বেড পেতে জটিলতার ফাঁদে রাবি ছাত্রের মৃত্যু

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৪৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০
  • ১৫৭ Time View

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মরন সংকটাপন্ন রোগীদের আইসিইউতে বেড পেতে কর্তৃপক্ষের নিয়মের বেড়াজালে মৃত্যু বরন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র।অথচ বেড খালি থাকা সত্বেও পরিচালকের অনুমতি না থাকায় ঐ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

তিনি ২১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত মামুন রাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।রাজশাহী নওহাটা এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে সে , আলসার ও জন্ডিসে ভুগছিলেন তিনি।

তার সহপাঠী ঈসমাইল হোসেন জনি জানান, ভোর ৪টার দিকে আব্দুল্লাহ আল মামুনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউ’র জন্য যোগাযোগ করলে একটি সিট ফাঁকা আছে বলে জানানো হয়।

এই সিট পেতে হলে হাসপাতালের পরিচালকের (ডাইরেক্টর) লিখিত অনুমতি লাগবে বলে দায়িত্বরতরা জানান। তিনি আরও জানান, সিট পেতে হাসপাতাল পরিচালককে রাতে ফোন করেন শিক্ষার্থীরা। তবে তিনি ফোন ধরেননি। পরে বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হাসপাতালে আইসিইউ’র ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এরই মধ্যে মারা যান মামুন।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি বলে বিষয়ট তিনি এড়িয়ে যান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

রামেকের আইসিইউতে বেড পেতে জটিলতার ফাঁদে রাবি ছাত্রের মৃত্যু

Update Time : ১১:৪৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মরন সংকটাপন্ন রোগীদের আইসিইউতে বেড পেতে কর্তৃপক্ষের নিয়মের বেড়াজালে মৃত্যু বরন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র।অথচ বেড খালি থাকা সত্বেও পরিচালকের অনুমতি না থাকায় ঐ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

তিনি ২১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত মামুন রাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।রাজশাহী নওহাটা এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে সে , আলসার ও জন্ডিসে ভুগছিলেন তিনি।

তার সহপাঠী ঈসমাইল হোসেন জনি জানান, ভোর ৪টার দিকে আব্দুল্লাহ আল মামুনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউ’র জন্য যোগাযোগ করলে একটি সিট ফাঁকা আছে বলে জানানো হয়।

এই সিট পেতে হলে হাসপাতালের পরিচালকের (ডাইরেক্টর) লিখিত অনুমতি লাগবে বলে দায়িত্বরতরা জানান। তিনি আরও জানান, সিট পেতে হাসপাতাল পরিচালককে রাতে ফোন করেন শিক্ষার্থীরা। তবে তিনি ফোন ধরেননি। পরে বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হাসপাতালে আইসিইউ’র ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এরই মধ্যে মারা যান মামুন।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি বলে বিষয়ট তিনি এড়িয়ে যান।