ইসরায়েলে শনিবার মধ্যরাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত দুই দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৫০ জন। নিহতদের মধ্যে শুধু উত্তর ইসরায়েলে প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন। খবর টাইমস অব ইসরায়েল।
নিহত সবাই আরব ইসরায়েলি। তারা খাতিব পরিবারের সদস্য। শহরটি ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি অধ্যুষিত।
অপরদিকে ভোরের হামলায় ৬০ বছর বয়সী এক নারী প্রাণ হারিয়েছেন। ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা মেগান ডেভিড আদম জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের বাত ইয়ামে ওই নারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া সেখানে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন। যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক।
ইরানি হামলায় বাণিজ্যিক রাজধানী তেলআবিব এবং রামাত গানেও বেশ কিছু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে সেখানকার হতাহতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।
ইরানের এ হামলার আগে ইসরায়েলিদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় সেনাবাহিনী। তবে এখন তারা এ নির্দেশনা তুলে দিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের ওই আরব শহরটিতে হতাহতের সংখ্যা বেশি কারণ সেখানে আশ্রয় নেওয়ার মতো খুব বেশি সুবিধা নেই।
এর আগে, শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে তেল আবিবে ইরান শতাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে চারজন নিহত ও অনেক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানা লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়।
এ ছাড়া আবাসিক স্থানেও হামলা চালায় তেল আবিব। হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ একাধিক কমান্ডারসহ ৮০ জন নিহত হয়েছে। যাদের মধ্যে ২০ জন শিশু রয়েছে।
এদিকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান সংঘাতে নিজেদের সেনাদলে আহত হওয়ার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
শনিবার (১৪ জুন) দেশটির সেনাবাহিনীর দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, মধ্য ইসরায়েলে গভীর রাতে এই হামলা হয়, যা ছিল তাদের ওপর ইরানের পাল্টা আক্রমণের অংশ।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইলগুলোর আঘাতে অন্তত ৭ সেনা আহত হন।