মোঃ সাইদুল ইসলাম রানীনগর নওগাঁ প্রতিনিধি :

নওগাঁর রাণীনগরে প্রধান মন্ত্রীর উপহার পাকা ঘর দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে।

ঘর পাবার আসায় টাকা দিয়ে গত তিন বছরেও কোন ঘর না পাওয়ায় সুষ্ঠু সমাধান ও টাকা ফেরৎ পেতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নাছিমা বিবি।
অভিযোগে জানা যায়,গত প্রায় তিন বছর আগে উপজেলার খলিশাকুড়ী গ্রামের রাসেল চৌধুরী ও তার বাবা একই গ্রামের হত দরিদ্র নাছিমা বিবির নিকট থেকে বিনা পয়সায় গৃহহীনদের প্রধান মন্ত্রীর উপহার পাকা ঘর দেয়ার কথা বলে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি ও ছবি নেয়। কিছু দিন পর ভুক্তভোগীকে জানায়,ঘর পাওয়ার লোকজন বেশি হয়েছে। তাই উপর মহলের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করতে টাকা লাগবে। এমন অযুহাতে নাছিমার নিকট থেকে প্রায় ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এর পর দীর্ঘ দিন গত হয়ে গেলেও ঘর দিতে পারেনি । ফলে এর সুষ্ঠু সমাধান পেতে গ্রাম্য শালিশের আয়োজন করলেও অভিযুক্তরা শালিশে উপস্থিত হয়নি। ফলে নিরুপায় হয়ে খলিশাকুড়ি গ্রামের দরিদ্র নাছিমা বিবি রবিবার বিকেলে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী নাছিমা বিবির ছেলে নয়ন বলেন,আমরা গ্রামের অত্যন্ত হত দরিদ্র মানুষ। আমাদের জায়গা জমি নেই। তাই রাসেল ও তার বাবার সরল কথায় হাঁস,মূরগী,গরু ছাগল বিক্রি করে ৬০ হাজার টাকা দিয়েছি। এর পর থেকে ঘর দিচ্ছি দিবো বলে প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও এর কোন সমাধান হয়নি। টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে নানাভাবে টালবাহনা করছে। নিরুপায় হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
গ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন,আমরা গ্রামে বৈঠকের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু রাসেল ও তার বাবা বৈঠকে উপস্থিত না হওয়ায় সমাধান করা যায়নি।
অভিযুক্ত রাসেল চৌধুরী ভূক্তভোগীদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,নাছিমার ছেলে নয়নের সাথে আমার দ্বন্দ্বের জেরে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ করেছে। তাছাড়া আমিতো মেম্বারও নয়,চেয়ারম্যানও নই,আমি কেন টাকা নিতে যাবো ?
রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আল মামুন বলেন,ঘর দেয়ার নামে টাকা নেয়ার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে