মোঃ সাইদুল ইসলাম রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার সদরের উত্তর রাজাপুর গ্রামের কুদ্দুসের দোকন থেকে রক্তদহ বিল মুখ পর্যন্ত এক কিলোমিটার এলজিইডির রাস্তার এইচবিবি কাজ দীর্ঘ দেড় বছরেও শেষ হয়নি।
এছাড়া কাজ সম্পন্ন না করেই কাজ ফেলে রেখে চলে গেছেন ঠিকাদার। বর্তমানে রাস্তাটির মুখ থুবড়ে আছে। ফলে চড়ম ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকাবাসি।
ওই রাস্তাটিকে ঘিড়ে রাণীনগর উপজেলা এলজিইডি অফিসের বিরুদ্ধে দায়িত্বহীনতাসহ নানান অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা বলছেন, বর্তমানে রাস্তা যে ভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে অফিস থেকে কোন খোঁজ খবরও নেওয়া হয়নি এবং কাজ সম্পন্ন না করেই ঠিকাদার চলে গেছেন।
এছাড়া যেটুকু রাস্তার কাজ করা হয়েছে সেখানে নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এ ঘটনায় দ্রুত উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসি। এদিকে ওই রাস্তার বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি অফিসে তথ্য নিতে গেলে সাংবাদিকদের তথ্য দেননি এলজিইডি প্রকৌশলী।
জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামের কুদ্দুসের দোকন থেকে রক্তদহ বিল মুখ পর্যন্ত ১ কিলোমিটার রাস্তা এইচবিবি কাজ করার জন্য ও রাস্তার ধারে কিছু প্যালাসাইড করার জন্য ২০১৯ সালে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) অফিস থেকে টেন্ডার দেওয়া হয়। সেই টেন্ডারে পোরশার মেসার্স গণি ষ্টোর নামে এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি পান। সেই কাজ নওগাঁর মিঠু নামে এক ঠিকাদার করছেন। এই কাজের বরাদ্দ দেওয়া হয় ৩৯ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। এরপর রাস্তাটির কাজ শুরু করেন ঠিকাদার। রাস্তার অবশিষ্ট কাজ ফেলে রেখে চলে যান ঠিকাদার। এছাড়া রাস্তার ধারে এখনো করা হয়নি প্যালাসাইড এর কাজ। বর্তমানে রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে গর্তের কারণে রাস্তা খানা খন্দে ভরপুর হয়ে মুখ থুবড়ে আছে। দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পার হলেও রাস্তার কাজ শেষ না হওয়ায় চড়ম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) অফিসের কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতা এবং তদারকির অভাবে এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। যেন দেখার কেউ নেই। এছাড়া রাস্তাটির নির্মান কাজে নিম্মমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। দ্রুত উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় ময়নুল, তুহিন, আব্দুর রশিদ, আব্দুল কাইওম সহ অনেকেই বলেন, রাস্তা নির্মানের জন্য খনন করে শুধু মাত্র এজিং দিয়ে ফেলে রাখায় কোন গাড়ি চলাচল করতে পারছেনা। ফলে বিলের মধ্যে থেকে ফসলসহ কৃষি উপ্তাদিত পণ্য পরিবহণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া গ্রামের উত্তরপাশ থেকে বাজারে মালামাল পরিবহণ করতে পারছিনা আমরা। প্রায় দেড় বছর ধরে এমন দুর অবস্থার মধ্যে থাকলেও কেউ কোন খোঁজ খবর নেয়নি। দ্রুত কাজ শেষ করতে সংশিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
এ ব্যাপারে রাস্তাটির কাজের বর্তমান ঠিকাদার মিঠু বলেন, বণ্যার পানি কারনে রাস্তার কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে তথ্য নিতে গেলে আংশিক তথ্য দিয়ে রাণীনগর উপজেলা প্রকোশলী (এলজিইডি) শাহ মো: শহিদুল হক বলেন, সম্পন্ন তথ্য নিতে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করতে হবে। অন্যথায় সব তথ্য দেওয়া যাবে না।
এ ব্যাপারে নওগাঁ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাকছুদুল আলম বলেন, বণ্যার পানির কারনে কাজের কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। কাজ শেষ করতে ঠিকাদারকে তাগিত দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা হবে।