সুবীর মণ্ডল বাঁকুুুড়া জেলা প্রতিনিধি:

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় যেমন  মেধা তালিকায়   বাঁকুুুড়া জেলার অসংখ্য কৃতি ছাত্র- ছাত্রী  প্রতি বছর  স্হান দখল করে, তেমনি  সদ্য  প্রকাশিত  রাজ্য জয়েন্ট  এন্ট্রান্স পরীক্ষায়  মেধা তালিকায়  বাঁকুুুড়া জেলার জয়জয়কার। জেলা জুড়ে  খুশির আমেজ। এ-বছর জয়েন্টে দ্বিতীয়  স্হান দখল করেছে   বাঁকুুুড়া  জেলার গ্রামের ছেলে,   জেলা স্কুলের ছাত্র সৌম্যজিত দত্ত, সৌম্যজিতের বাবা স্বরূপ দত্ত বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের একজন  চিকিৎসক ,মা গৃহবধূ।   বাঁকুড়া  শহরের  উপকেন্ঠ  কেশিয়াকোলের এক আবাসনের  বাসিন্দা  সৌমজিতের পরিবার।  আজ ফলাফল  প্রকাশ হতেই  ছেলের কৃতিত্বের খবর পৌছে যায়  আবাসনে । খবর  পাওয়া  মাত্রই  অভিনন্দন জানাতে ভিড় করেন  প্রতিবেশীরা।    সৌমজিতের সাফল্যে খুশি  যেমন তার  পরিবার, তেমনি খুশি সারা বাঁকুড়া জেলা। উচ্চ মাধ্যমিকে সৌমজিতের প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৪৮০। জয়েন্ট  এন্ট্রান্সের ফলাফলে  খুশি  সৌমজিত। সে জানাল, খড়গপুর আই  আইটি  থেকেই  ইঞ্জিনিয়ারিং  পড়তে  চায়।  সারাদিন পড়াশোনা  নিয়ে  ব্যস্ত  থাকতো। এছাড়া  বই পড়া,খেলাধুলা  তার  নেশা।  প্রাইভেট  টিউশনি  ছাড়া  সে সমস্ত  বিষয়  কম্বাইন্ড করে পড়াশোনা করতো। ছেলের অসাধারণ  ফলাফল  সম্পর্কে  আলোকপাত করেন  সৌমজিতের মা।তার মা জানালেন–” ও যে ভালো  ফল করবে  সে বিষয়ে  আমি নিশ্চিত  ছিলাম, তবে  দ্বিতীয়  স্থান  লাভ করায় খুব  ভালো  লাগছে।” ইতিমধ্যে  সৌমজিতের সাফল্যকে  অভিনন্দন জানিয়েছেন  বাঁকুড়া জেলার  এম,পি তথা  কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী    ডাঃ  সুভাষ সরকার।  তাঁর এই সাফল্যে বাঁকুড়াবাসী হিসেবে  সবাই গর্বিত । নিজের  জেলার  ছেলের সাফল্যে  তিনি  অত্যন্ত গর্বিত। সেই সঙ্গে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে চলেছ । আলাপচারিতায়  সৌমজিত জানাল,” তার সাফল্যের মূল  চাবিকাঠি হলো , বারবার থিওরি পড়া আর গোল সেট করে অনুশীলনেই”। সৌমজিতের সাফল্যে  অনুপ্রাণিত হয়ে উঠবে জেলার আগামী প্রজন্মের  তরুণ-তরুণীরা। বাঁকুুুুড়া  জেলার বুকে  আরও অনেক   সৌমজিতের  আবির্ভাব কামনা করে   জেলাবাসী। রাজ্যের  শিক্ষার মানচিত্রে  ধারাবাহিক ভাবে এক অনন্য  নজির  সৃষ্টি করে চলেছে  বাঁকুড়া  জেলা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে