জাতীয় দলের সাবেক স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের পর বিসিবির গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ পেলেন আরও এক প্রাক্তন ক্রিকেটার।
ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ পেলেন প্রাক্তন বাঁহাতি ওপেনার শাহরিয়ার নাফিস আবির। চূড়ান্ত ঘোষণা না দিলেও আজ রোববার বিসিবিসূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচক হিসেবে সাবেক কিংবদন্তী স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক রাজকে নিয়োগ দেয় বিসিবি।
একটা সময় বিসিবির গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে সাবেক ক্রিকেটারদের চেয়ে ক্রিকেটের বাইরের মানুষদের অংশগ্রহণটাই বেশি চোখে পড়ত। কিন্তু সময় বদলেছে। এখন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, আকরাম খান, খালেদ মাহমুদ সুজন, নাঈমুর রহমান দুর্জয়, হাবিবুল বাশারদের মতো সাবেক অধিনায়কেরা কাজ করছেন বোর্ডে।
সম্প্রতি আধুনিক ক্রিকেটের আরও দুই ক্রিকেটার রাজ্জাক ও নাফীস যুক্ত হতে যাচ্ছেন এই তালিকায়। ক্রিকেটের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্রিকেটারদের কাজ করাটাকে বড় প্রাপ্তি হিসেবেই দেখছেন সাবেক ওপেনার শাহরিয়ার নাফীস।
বাংলাদেশ দলের প্রথম টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক নাফীস। অবশ্য সেই এক ম্যাচের পরে টি-টোয়েন্টিই আর খেলা হয়নি তার। ফলে অধিনায়কত্বের ক্যারিয়ার ওখানেই আটকা পড়ে নাফীসের। তবে তিনি যে একজন মেধাবী ক্রিকেটার তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তার মেধাকে এবার মাঠের বাইরেও কাজে লাগাতে চায় বিসিবি।
শাহরিয়ার নাফীসের ব্যাপারে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার কয়েকদিন আগেই আব্দুর রাজ্জাককে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমনের সঙ্গে তৃতীয় নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দেয় বিসিবি। নাফীস ও রাজ্জাক দুইজনই সমসাময়িক সময়ের ক্রিকেটার। প্রায় একই সময়ে দুইজনের বোর্ডের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাওয়াকে তাদের ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন নাফীস।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় এটা ক্রিকেটের জন্য খুবই ভালো লক্ষণ। এখন আস্তে যেমন ক্রিকেটারদের কাজে (বোর্ডে) সম্পৃক্ততা বাড়ছে এটা যেমন ক্রিকেটের জন্য ভালো, পাশাপাশি বাংলাদেশের যারা ক্রিকেটার আছেন তাদের জন্যও ইতিবাচক। কারণ একজন ক্রিকেটার সারাজীবন তার শ্রম দেয় ক্রিকেটের জন্য। পড়ালেখা বা অন্যান্য দিকগুলো তারা ত্যাগ করে আসে। তাই ক্রিকেট পরবর্তী জীবনে যদি বোর্ড ক্রিকেটারদের সুযোগ দেয় তাহলে এটা ক্যারিয়ারের জন্যও যেমন ভালো, তেমনি ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্যও ভালো।’
শাহরিয়ার নাফীস তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৭৫টি ওয়ানডের পাশাপাশি ২৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন দেশের হয়ে। ওয়ানডেতে ৪টি শতকের সঙ্গে ১৩টি ফিফটি হাঁকিয়েছেন, যার মধ্যে সর্বোচ্চ ইনিংস ১২৩*। মোট রানের সংখ্যা ৩১.৪ গড়ে তার রান ২ হাজার ২০১। আর টেস্টে একটি শতক ও সাতটি অর্ধশতকে ২৬.৪ গড়ে তার রান ১২৬৭। যেখানে সর্বোচ্চ ইনিংস ১৩৮। আর একটি মাত্র টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ২৫ রান করেন নাফিস।