আসাদুর রহমান,
রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার তিস্তা নদীর তীরে বসবাসরত অসহায় ও দুস্থ মানুষদের মাঝে ত্ৰাণ বিতরণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকাল ১১ ঘটিকায় রাজারহাট উপজেলার ৫নং বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের তিস্তা নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় একশত পরিবারের মাঝে এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
৬৬ পদাতিক ডিভিশনের অধিনস্থ রংপুর সেনানিবাসে অবস্থিত ৭২ পদাতিক ব্রিগেড এর অন্তর্গত ৩০ বীর ব্যাটালিয়ন এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট তানজিম ফাহিম হিমেল।
তিনি জানান, চলমান লকডাউন পরিস্থিতিতে কুড়িগ্রামের অসহায় ও দুস্থ মানুষদের সাহায্য প্রদানের উদ্দেশ্যে এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, উত্ত ত্রাণ সামগ্রীর যােগান সেনাসদস্যদের নিজস্ব রেশন হতে সংকুলান করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলায় সেনাবাহিনী তাদের এ ধরনের জনকল্যাণ ও মানবসেবা মূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
যথাযথ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং কোভিড প্রটোকল অনুসরন করে অনুষ্ঠিত এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের দায়িত্বে ছিলেন সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার শেখ মাহাবুবুল মুর্শেদ এবং ওয়ারেন্ট অফিসার মােঃ রেজাউল করিম।
গত ০১ জুলাই ২০২১ তারিখ হতে সরকার কর্তৃক ঘােষিত লকডাউন বাস্তবায়নে ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার এর আওতায় কুড়িগ্রাম জেলায় সেনাবাহিনী নিয়ােজিত রয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলায় সেনাবাহিনীর আভিযানিক কার্যক্রমের তত্ত্বাবধায়নে রয়েছেন ৩০ বীর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মােহাম্মদ হেদায়েতুল ইসলাম, পিএসসি।
সদর উপজেলা, চিলমারী, উলিপুর, নাগেশ্বরী, ভূরঙ্গামারী, ফুলবাড়ি এবং রাজারহাট উপজেলায় সেনাবাহিনীর টহল কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। লকডাউন বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে চেকপােস্ট স্থাপন করে দায়িত্ব পালন করছেন। বিধি-নিষেধ অমান্য ও লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে বাজার ও দোকান বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করছে সেনাবাহিনীর টহল দলসমূহ।
চলমান লকডাউন বাস্তবায়নে কুড়িগ্রাম জেলায় কঠোর ও দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে সেনাবাহিনী। অন্যদিকে অসহায় ও দুস্থ মানুষদের মাঝে মাস্ক বিতরণ এবং ত্রাণ বিতরণের মত মানব সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী। ত্রাণ পেয়ে আসহায় এবং দুস্থরা সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।