অবশেষে জয়ে ফিরল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে স্টিভেন স্মিথের রাজস্থান রয়্যালসকে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্লে-অফের আশা টিকিয়ে রাখলো ডেভিড ওয়ার্নারের দল।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজস্থান আর হায়দরাবাদের লড়াইয়ের চেয়ে বড় বিষয় ছিল সাবেক দুই অসি অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের লড়াই। স্মিথ যখন অসি অধিনায়ক ছিলেন, তখন সহ-অধিনায়ক ছিলেন ওয়ার্নার। দুই সতীর্থের লড়াইয়ে যে জিতে কে হারে সেটাই ছিল দেখার। অবশেষে স্মিথকে হারিয়ে দিলেন ওয়ার্নার।

পয়েন্ট টেবিলে অবস্থানটা খুব বেশি শক্ত-পোক্ত নয়। তবে, আজ যদি রাজস্থানের কাছে হেরে যেতো হায়দরাবাদ, তাহলে নিশ্চিত বলা যায়, টুর্নামেন্ট থেকেই হয়তো ছিটকে যেতো তারা। রাজস্থানকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে একই কাতারে উঠে এলেও রান রেটের ব্যবধানে ৫ নম্বরে রয়েছে ওয়ার্নারের দল। সমান ৮ পয়েন্ট রয়েছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব এবং রাজস্থান রয়্যালসেরও।

দুবাইয়ে ১৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে অবশ্য কিছুটা বিপদে পড়েছিল হায়দরাবাদ। ৪ রান করে আউট হয়ে যান ডেভিড ওয়ার্নার। ১০ রান করে বিদায় নেন জনি বেয়ারেস্টও। ১৬ রানের মাথায় দলের সেরা দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে যখন দুশ্চিন্তায় শেষ হায়দরাবাদ শিবির, তখনই ঘুরে দাঁড়ায় মানিস পান্ডে এবং বিজয় শঙ্কর জুটি।

এই দু’জনের ব্যাটে গড়ে ওঠে ১৪০ রানের জুটি। ৪৭ বলে অপরাজিত ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন মানিস পান্ডে। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মারেন ৮টি। বিজয় শঙ্কর অপরাজিত থাকেন ৫১ বলে ৫২ রানে। ৬টি বাউন্ডারি মারলেও একটিও ছক্কা নেই তার ইনিংসে। শেষ পর্যন্ত ১১ বল হাতে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা দু’জন।

জোফরা আরচার একাই নেন হায়দরাবাদের ২ উইকেট। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান সংগ্রহ করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান। ৩৬ রান করেন সাঞ্জু স্যামসন। ৩০ রান করেন বেন স্টোকস। রায়ান পারাগ ২০ এবং স্মিথ করেন ১৯ রান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে