Dhaka ০২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী সিভিল সার্জন অফিসের দায়িত্বহীনতায়, ক্লিনিকে বাড়ছে অনিয়ম

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৫৮:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১৯৬ Time View

সানোয়ার আরিফ রাজশাহীঃ রাজশাহীতে হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য, যত্রতত্র বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপন, নকল ঔষধ কারখানা বন্ধ, চিকিৎসকদের সুনির্দিষ্ট বদলি, প্রাইভেট প্র্যাকটিসের ফি, ঔষুধ কোম্পানি থেকে উপঢৌকন নেওয়া, ল্যাব বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে কমিশন নেওয়া বন্ধ করাসহ – স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি বন্ধে রাজশাহী সিভিল সার্জন দফতর এমন কোন বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা নেই কারো। রাজশাহীতে স্বাস্থ্য খাতের এ বিভাগটির এ জাতীয় দায়িত্বহীনতায় বিস্মিত সকলেই ।

রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডাঃ এনামুল হকের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছে সুশীল সমাজ।

সম্প্রতি রাজশাহী পপুলার ডায়গনষ্টিক সেন্টারে আদিবাসী নবজাতকের মৃত্যু, রামেক হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর মৃত্যু,রাজশাহী পুঠিয়া জনসেবা ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যু, রাজশাহী রয়েল হাসপাতালে রাজশাহী দূর্গাপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিএইচও ডাঃ আসাদ কর্তৃক জুনিয়র ডাক্তার লাঞ্ছিত,পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. বেলাল হোসেনের চেম্বারে যুবলীগ নেতার আত্মীয়কে মারধোর সহ প্রতিটি ঘটনায় অদৃশ্য কারনে নীরব ভূমিকা পালন করেছে রাজশাহী সিভিল সার্জন অফিস।

এছাড়াও সাংবাদিকরা রাজশাহী জেলার বিভিন্ন থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে সেখানে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সেবা না পাওয়া রোগীদের হয়রানী কিংবা ডাক্তার,নার্স কর্তৃক অসহযোগিতার বিষয়ে অভিযোগ করলে অনেকটাই দায়সারা জবাব দেন সিভিল সার্জন ডাঃ এনামুল হক। কিংবা বলেন – আমি তো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

এদিকে সার্বিক বিষয় নিয়ে জানতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপ-সচিব (শৃংখলা শাখা) উম্মে কুলসুমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন – গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য, যত্রতত্র বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপন, নকল ঔষধ কারখানা বন্ধ, চিকিৎসকদের সুনির্দিষ্ট বদলি, প্রাইভেট প্র্যাকটিসের ফি, ঔষধ কোম্পানি থেকে উপঢৌকন নেওয়া, ল্যাব বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে কমিশন নেওয়া বন্ধ করা- স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি বন্ধে এমন ২২টি বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

তাই তো রাজশাহীর সুশীল সমাজের প্রশ্ন – অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন সেই বিষয়টি ঠিক আছে কিন্তু অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডাঃ এনামুল হকের এত অনীহা ও আন্তরিকতার অভাব কেন? আর সব কিছু যেন নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হয়, তার দেখা শোনার জন্য ই তো সিভিল সার্জন পদের সৃষ্টি।

তবে সার্বিক বিষয়ের চিত্র নিয়ে রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডাঃ এনামুল হকের ০১৭১২৫০১৬১১ নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি সুইজড অফ পাওয়া যায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

রাজশাহী সিভিল সার্জন অফিসের দায়িত্বহীনতায়, ক্লিনিকে বাড়ছে অনিয়ম

Update Time : ০৪:৫৮:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

সানোয়ার আরিফ রাজশাহীঃ রাজশাহীতে হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য, যত্রতত্র বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপন, নকল ঔষধ কারখানা বন্ধ, চিকিৎসকদের সুনির্দিষ্ট বদলি, প্রাইভেট প্র্যাকটিসের ফি, ঔষুধ কোম্পানি থেকে উপঢৌকন নেওয়া, ল্যাব বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে কমিশন নেওয়া বন্ধ করাসহ – স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি বন্ধে রাজশাহী সিভিল সার্জন দফতর এমন কোন বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা নেই কারো। রাজশাহীতে স্বাস্থ্য খাতের এ বিভাগটির এ জাতীয় দায়িত্বহীনতায় বিস্মিত সকলেই ।

রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডাঃ এনামুল হকের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছে সুশীল সমাজ।

সম্প্রতি রাজশাহী পপুলার ডায়গনষ্টিক সেন্টারে আদিবাসী নবজাতকের মৃত্যু, রামেক হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর মৃত্যু,রাজশাহী পুঠিয়া জনসেবা ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যু, রাজশাহী রয়েল হাসপাতালে রাজশাহী দূর্গাপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিএইচও ডাঃ আসাদ কর্তৃক জুনিয়র ডাক্তার লাঞ্ছিত,পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. বেলাল হোসেনের চেম্বারে যুবলীগ নেতার আত্মীয়কে মারধোর সহ প্রতিটি ঘটনায় অদৃশ্য কারনে নীরব ভূমিকা পালন করেছে রাজশাহী সিভিল সার্জন অফিস।

এছাড়াও সাংবাদিকরা রাজশাহী জেলার বিভিন্ন থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে সেখানে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সেবা না পাওয়া রোগীদের হয়রানী কিংবা ডাক্তার,নার্স কর্তৃক অসহযোগিতার বিষয়ে অভিযোগ করলে অনেকটাই দায়সারা জবাব দেন সিভিল সার্জন ডাঃ এনামুল হক। কিংবা বলেন – আমি তো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

এদিকে সার্বিক বিষয় নিয়ে জানতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপ-সচিব (শৃংখলা শাখা) উম্মে কুলসুমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন – গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য, যত্রতত্র বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপন, নকল ঔষধ কারখানা বন্ধ, চিকিৎসকদের সুনির্দিষ্ট বদলি, প্রাইভেট প্র্যাকটিসের ফি, ঔষধ কোম্পানি থেকে উপঢৌকন নেওয়া, ল্যাব বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে কমিশন নেওয়া বন্ধ করা- স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি বন্ধে এমন ২২টি বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

তাই তো রাজশাহীর সুশীল সমাজের প্রশ্ন – অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন সেই বিষয়টি ঠিক আছে কিন্তু অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডাঃ এনামুল হকের এত অনীহা ও আন্তরিকতার অভাব কেন? আর সব কিছু যেন নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হয়, তার দেখা শোনার জন্য ই তো সিভিল সার্জন পদের সৃষ্টি।

তবে সার্বিক বিষয়ের চিত্র নিয়ে রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডাঃ এনামুল হকের ০১৭১২৫০১৬১১ নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি সুইজড অফ পাওয়া যায়।