Dhaka ০২:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী মহানগর মাদক সম্রাজ্যের ২ সম্রাজ্ঞীকে রুখবে কে ?

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:০৩:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০
  • ২২৮ Time View

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ

বিগত ১১ জানুয়ারি ২০১৭ সালে মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রতিশ্রুতি দিয়ে – মাদক ব্যবসায়ী মধ্যবয়সী শেফালি বেগম মঞ্চে উঠে বলেন, ‘আমি ভুল করেছি। আমি আর মাদক বেচতে চাই না। আমি নিজে বাঁচতে চাই, সমাজকে বাঁচাতে চাই।’

সেই সময় শেফালি বেগম রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলামের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন একটি সেলাই মেশিন ও নগদ ২৫ হাজার টাকা । সে টাকা দিয়ে শুরু করেন আবারো মাদক ব্যবসা। অবশ্য সেলাই মেশিনটিও বিক্রি করেছেন আরডিএ মার্কেটের একটি টেইলার্সে।

রাজশাহী বোয়ালিয়া থানার অন্তর্গত বিশিষ্ট মাদক সম্রাজ্ঞী শেফালীকে নাম কা ওয়াস্তে মাদক মামলায় চালান হলেও মাত্র কয়েকদিনে জামিনে এসে শুরু করেছেন মাদক ব্যবসা।কয়েকমাস পুর্বে রাজশাহী মহানগর ডিবি ও বোয়ালিয়া থানা রেড দিলেও এখন আর পুলিশি রেডে যাননা কেহই।কারন পুলিশ রেডে গিয়ে বাসায় কখনোই পাওয়া যায়না তাকে। অবশ্য পুলিশ প্রশাষনের কারো কারো আশীর্বাদেই যে মদদপুস্ট মাদক ব্যবসায়ী শেফালী এ বিষয়ে কোনই সন্দেহের অবকাশ নেই।

বর্তমানে সেই শেফালী বেগম রাজশাহীর ডান্ডিখ্যাত পঞ্চবটি এলাকার মাদকের গডমাদার। কি চান তার কাছে – ইয়াবা, ফেন্সিডিল , বিদেশী মদ, গাঁজা সবই পাওয়া যায় তার কাছে। আরেক ব্যবসায়ী আকলীমার বাড়িতেই মাদক রেখে বিক্রি করেন শেফালী বেগম। সেই সাথে শেফালী বেগমের মামলার পরিসংখ্যান নিম্নরুপ –

➤ এফ আই আর নং -২৫ তারিখ- ৭ই মার্চ ২০ সময়-সকাল ১২.৫০ মিনিট থানাঃ বোয়ালিয়া ধারাঃ ৩৬ (১)এর ৮৯ (ক) মাদকদ্রব্য আইন।

➤ এফ আই আর নং -২৯ তারিখ- ১২ই নভেম্বর ২০১৮ সময়-সকাল ১৩.৩০ মিনিট থানাঃ বোয়ালিয়া ধারাঃ ১৯(১)এর১(ক)মাদকদ্রব্য আইন।

➤ এফ আই আর নং -৩৯ তারিখ- ২২ মে ২০ ১৬ সময়-সকাল ২১.৩০ মিনিট থানাঃ বোয়ালিয়া ধারাঃ ১৯(১)এর ৭ (ক) ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য আইন।

অন্যদিকে মাদক সম্রাজ্যে কলির নাম না বললেই না।রাজশাহীর আলোচিত ইয়াবাসহ সুন্দরী কলি (২৫)। কলি শেখেরচক মহলদারপাড়ার জিল্লুর সরদারের মেয়ে ও আরিফিন ইসলাম সঞ্জুর স্ত্রী।ইয়াবা ব্যবসার জননী হিসেবে যথেষ্টই নাম ডাক আছে তার। সে এই পথে পুরনো না হলেও সম্প্রতি রাজশাহীতে ইয়াবা সুন্দরী হিসেবে পরিচিতি পান তিনি।রাজশাহী শহরে তার ছোট- বড় মিলিয়ে প্রায় ১৫ জন ভ্রাম্যমাণ মাদক বিক্রেতা।

গোপনসুত্রে জানা গেছে, মাদক ব্যবসায়ী শেফালী ও কলির কাছে নিয়মিত মাসোহারা নেন রাজশাহীতে ১ যুগ ধরে থাকা বর্তমান বোয়ালিয়া থানার এএসআই চঞ্চল,এএসআই ফেরদৌস মনির ও এএসআই মনির।এছাড়াও বোষপাড়া পুলিশ ফাঁড়ীর কিছু পুলিশ সদস্যও এই মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সম্পৃক্ত আছেন বলে নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানিয়েছেন কয়েকজন এলাকাবাসী।

অন্যদিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও বোয়ালিয়া থানার ওসিকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বারংবার মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ দিয়েও আশানুরূপ ফল পাননি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

রাজশাহী মহানগর মাদক সম্রাজ্যের ২ সম্রাজ্ঞীকে রুখবে কে ?

Update Time : ০৬:০৩:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ

বিগত ১১ জানুয়ারি ২০১৭ সালে মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রতিশ্রুতি দিয়ে – মাদক ব্যবসায়ী মধ্যবয়সী শেফালি বেগম মঞ্চে উঠে বলেন, ‘আমি ভুল করেছি। আমি আর মাদক বেচতে চাই না। আমি নিজে বাঁচতে চাই, সমাজকে বাঁচাতে চাই।’

সেই সময় শেফালি বেগম রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলামের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন একটি সেলাই মেশিন ও নগদ ২৫ হাজার টাকা । সে টাকা দিয়ে শুরু করেন আবারো মাদক ব্যবসা। অবশ্য সেলাই মেশিনটিও বিক্রি করেছেন আরডিএ মার্কেটের একটি টেইলার্সে।

রাজশাহী বোয়ালিয়া থানার অন্তর্গত বিশিষ্ট মাদক সম্রাজ্ঞী শেফালীকে নাম কা ওয়াস্তে মাদক মামলায় চালান হলেও মাত্র কয়েকদিনে জামিনে এসে শুরু করেছেন মাদক ব্যবসা।কয়েকমাস পুর্বে রাজশাহী মহানগর ডিবি ও বোয়ালিয়া থানা রেড দিলেও এখন আর পুলিশি রেডে যাননা কেহই।কারন পুলিশ রেডে গিয়ে বাসায় কখনোই পাওয়া যায়না তাকে। অবশ্য পুলিশ প্রশাষনের কারো কারো আশীর্বাদেই যে মদদপুস্ট মাদক ব্যবসায়ী শেফালী এ বিষয়ে কোনই সন্দেহের অবকাশ নেই।

বর্তমানে সেই শেফালী বেগম রাজশাহীর ডান্ডিখ্যাত পঞ্চবটি এলাকার মাদকের গডমাদার। কি চান তার কাছে – ইয়াবা, ফেন্সিডিল , বিদেশী মদ, গাঁজা সবই পাওয়া যায় তার কাছে। আরেক ব্যবসায়ী আকলীমার বাড়িতেই মাদক রেখে বিক্রি করেন শেফালী বেগম। সেই সাথে শেফালী বেগমের মামলার পরিসংখ্যান নিম্নরুপ –

➤ এফ আই আর নং -২৫ তারিখ- ৭ই মার্চ ২০ সময়-সকাল ১২.৫০ মিনিট থানাঃ বোয়ালিয়া ধারাঃ ৩৬ (১)এর ৮৯ (ক) মাদকদ্রব্য আইন।

➤ এফ আই আর নং -২৯ তারিখ- ১২ই নভেম্বর ২০১৮ সময়-সকাল ১৩.৩০ মিনিট থানাঃ বোয়ালিয়া ধারাঃ ১৯(১)এর১(ক)মাদকদ্রব্য আইন।

➤ এফ আই আর নং -৩৯ তারিখ- ২২ মে ২০ ১৬ সময়-সকাল ২১.৩০ মিনিট থানাঃ বোয়ালিয়া ধারাঃ ১৯(১)এর ৭ (ক) ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য আইন।

অন্যদিকে মাদক সম্রাজ্যে কলির নাম না বললেই না।রাজশাহীর আলোচিত ইয়াবাসহ সুন্দরী কলি (২৫)। কলি শেখেরচক মহলদারপাড়ার জিল্লুর সরদারের মেয়ে ও আরিফিন ইসলাম সঞ্জুর স্ত্রী।ইয়াবা ব্যবসার জননী হিসেবে যথেষ্টই নাম ডাক আছে তার। সে এই পথে পুরনো না হলেও সম্প্রতি রাজশাহীতে ইয়াবা সুন্দরী হিসেবে পরিচিতি পান তিনি।রাজশাহী শহরে তার ছোট- বড় মিলিয়ে প্রায় ১৫ জন ভ্রাম্যমাণ মাদক বিক্রেতা।

গোপনসুত্রে জানা গেছে, মাদক ব্যবসায়ী শেফালী ও কলির কাছে নিয়মিত মাসোহারা নেন রাজশাহীতে ১ যুগ ধরে থাকা বর্তমান বোয়ালিয়া থানার এএসআই চঞ্চল,এএসআই ফেরদৌস মনির ও এএসআই মনির।এছাড়াও বোষপাড়া পুলিশ ফাঁড়ীর কিছু পুলিশ সদস্যও এই মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সম্পৃক্ত আছেন বলে নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানিয়েছেন কয়েকজন এলাকাবাসী।

অন্যদিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও বোয়ালিয়া থানার ওসিকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বারংবার মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ দিয়েও আশানুরূপ ফল পাননি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।