সানোয়ার আরিফ রাজশাহী প্রতিনিধি: খানাখন্দের কারণে জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে রাজশাহী সপুরা এলাকায় অবস্থিত বিসিক অফিস কেন্দ্রিক সড়ক গুলোতে। বিনা নজরদারির কারণে সড়কটিতে অল্প বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা, দেখা দেয় দিনে- রাতে নানান ধরনের দূর্ঘটনা। বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দে ভরা কর্দমাক্ত ওই সড়কে ব্যাহত হয় পথচারীদের স্বাভাবিক চলাচল তাই প্রতিনিয়ত বড় বড় দূর্ঘটনা ক্রমশই বেড়েই চলেছে ।
সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও অন্যান্য পেশার মানুষসহ আশপাশের এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ চলাচল করে বিসিকের এই রোডগুলোতে। তারপরও যদি এই রোডগুলোর অবস্থা এমন বেহাল হয় তবে নগরবাসীর দূর্ভোগের শেষ থাকেনা। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাজশাহী বিসিক অফিস ঘিরেই ৪টি রাস্তারই খানাখন্দের অভাব নেই।রাস্তা না যেন একেকটি গর্ত মৃত্যুর ফাঁদ।
এলাকবাসীর মধ্যে রাজশাহী কলেজের শিক্ষক আবুল মোত্তালেব বলেন – গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে রাজশাহী বিসিক এলাকার বিভিন্ন স্থানে ও মূল সড়কের পাশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন কাজে বের হওয়া মানুষরা। অনেক স্থানে রাস্তা ও ফুটপাত তলিয়ে গেছে। আমি গত ৩ দিন আগে অটো রিক্সায় বাড়ী ফেরার সময় বিসিক অফিসের সামনে রিক্সা গর্তে পড়ে গেলে রিক্সাওয়ালাসহ আমিও প্রচণ্ড আঘাত পাই। পরে আশেপাশের লোকজন আমাকে অচেতন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
ঐ এলাকার স্থানীয় আরেক মুদির ব্যবসায়ী রফিক বলেন – গতকাল রিক্সা যোগে দোকানের মালামাল নিয়ে আসার সময় গর্তে রিক্সার চাকা পড়ে গেলে আমার প্রায় ১ মন ওজনের চালের বস্তা ও ২০ কেজির ওজনের আটার বস্তাসহ গর্তে পড়ে যায়। এতে খুব একটা আঘাত না পেলেও চাল ও আটার বস্তা গর্তের পানিতে পড়ে পুরোটাই ভিজে যায়।
অন্যদিকে বেশ কয়েকজন স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন – রাজশাহী বিসিক অফিসের এ সকল বিষয়ে কোন মাথাব্যথা নেই। কারন তাদের নির্মানাধীন নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরীতে যে সকল ইট বালু ব্যবহার করছেন তাতে এই খানাখন্দের পাশের দেয়ালও যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়বে।
হামিদ নামের স্থানীয় এক দোকানদার বলেন – খানাখন্দের পাশেই বিসিক অফিসের যে দেয়াল নির্মান হচ্ছে তাতে যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটবেই। কারন এক তো খানাখন্দ তার উপর প্রাচীর নির্মানে যে সকল ২ নাম্বার ইট ও বালু ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে নতুন দেয়ালও যে কোন সময় ধসে পড়বে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে গিয়ে দেখা যায় বিসিক অফিস ঘিরে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তে পরিপূর্ন এক রাস্তা। সেই রাস্তার ধার ঘিষেই বিসিকের নির্মানাধীন দেয়াল তিরীতে নিম্নমানের যে ইট বালু ব্যবহার হচ্ছে এতে যে কোন সময় দেয়াল ধসের মত ঘটনা ঘটতে খুব একটা বেশী সময় লাগবেনা।
তবে এ বিষয়ে রাজশাহী বিসিক কর্তিৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে ফোনে কাউকে পাওয়া সম্ভব হয়নি।