রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বীরকুৎসা রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনে কাঁটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি হলেন উপজেলার যোগিপাড়া ইউনিয়নের বাজেকোলা গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম (৫২)।
জানা যায় সে পেশায় একজন ভ্যান চালক। খন্ডিত লাশের পাশে পড়ে ছিল তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোন। সেই মুঠোফোনের মাধ্যমে শনাক্ত হলো অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয়। পরে পরিবারের লোকজনকে ফোন করে জানানো হলে তাঁরা এসে লাশ শনাক্ত করে দাফনের জন্য বাড়িতে নিয়ে যান। তবে কোনো ট্রেনে তিনি কাটা পড়েছেন তা জানা সম্ভব হয়নি।
পরিবারের লোকজন জানান, গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন রফিকুল ইসলাম। মুঠোফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করেও অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আজ সোমবার ভোরে বাড়ি থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে উপজেলার বীরকুৎসা রেলওয়ে স্টেশনের লাশে তাঁর খন্ডিত লাশ দেখতে পান। লাশের মুখমণ্ডল বিকৃত অবস্থায় থাকায় তাঁর পরিচয়ও উদ্ধার করতে বেগ পেতে হয় লোকজনকে। তবে লাশের পাশে একটি বন্ধ মুঠোফোন দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন তা চালু করে পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা করেন। অবশেষে মুঠোফোনের মাধ্যমে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর পরিচয় শনাক্ত করা হয়। সকাল ১০টার দিকে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে মুঠোফোন ও পোশাক দেখে ওই খণ্ডিত লাশের পরিচয় নিশ্চিত করে দাফনের জন্য বাড়িতে নিয়ে আসেন। ওই গ্রামের বাসিন্দা আওয়ামী লীগের স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল করিম বলেন, লাশের মাথা ও মুখমণ্ডল থেঁতলে যাওয়াতে তাঁকে শনাক্ত করতে সময় লেগেছে। তবে মুঠোফোন ও পোশাকের কারণে তাঁকে শনাক্ত করা সহজ হয়েছে। মানসিক অশান্তির কারণে তিনি আত্নহত্যা করতে পারেন বলে জানান।
এদিকে নিহত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী তানজিলা খাতুন বলেন, তাঁর স্বামী জমা-জমা বিক্রি, ঋণ করে ও জমানো টাকা খরচ করে মধ্যপ্রাচ্যে গিয়েছিলেন, প্রতারিত হয়ে দেশে ফেরার পর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এসব চাপে তাঁর স্বামী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্নহত্যা করেছেন বলে জানান। তাঁদের সাথে কররো শক্রুতা বা বিরোধ ছিল না।
যোগিপাড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুর রহিম বলেন, তাঁরা বিষয়টি শুনেছেন। তবে ঘটনাস্থল তাঁদের এলাকায় হলেও এটা রেলওয়ে পুলিশ দেখভাল করেন। সেখানে অপমৃত্যু মামলা হবে।