রাজশাহী প্রতিনিধিঃ

রাজশাহী জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠ শিশু একাডেমী ও শিশু বিকাশ কেন্দ্র, রাজশাহীর কর্মচারী বৃন্দ। ঢাকার প্রোগ্রাম অফিসার জনাব মো. মন্জুর কাদের গত ১৪/১০/২০১৭ তারিখে বদলি হয়ে শিশু একাডেমি রাজশাহীর জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে তিনি সরকারি অফিসকে ব্যক্তি গত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিনত করেছেন। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের খেয়াল খুশি মত অফিস পরিচালনা করেন। অফিসের কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাবে অপমান করে থাকেন। শিশু একাডেমির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অফিসের কর্মচারিদের বাদ দিয়ে নিজের পরিবারের সদস্য সহ বহিরাগত লোক নিয়ে এসে কাজ করেন। এভাবে অফিসের পরিবেশ নষ্ট করে চলেছেন প্রতিনিয়ত । তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে বহিরাগত লোক তার পোষা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ভয় ভীতি প্রদর্শন করেন।

মন্ত্রণালয়ের নিয়োগকৃত কর্মচারী মো. আদিল হোসেন, গার্ড, মো. মাসউদ রানা, বাবুর্চি, মোসা. সাবিনা খাতুন, আয়াকে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি এবং কোন কারণ দর্শানো ব্যতিরিকে নোটিশ ছাড়ায় তাদের তিন জনকে একসাথে ১০/০৪/২০১৯ তারিখের জেলা স্টিয়ারিং কমিটির সভার সিদ্ধান্ত দেখিয়ে নিয়মবহির্ভূত ভাবে ১১/০৪/২০১৯ তারিখে অব্যাহতি প্রদান করেন এবং এই দিন মো. সিহাব শেখ গার্ড কে পদে নিয়োগ প্রদান করেন। তিন জন কর্মচারী বার বার তার কাছে গিয়েও কারণ জানতে চাইলে তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এমন কি পুলিশের ভয় দেখান। পরবর্তীতে ১৬/০৬/২০১৯ তারিখে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে তিন জনই আবেদন করলে মো. মাসউদ রানা ও মোসা. সাবিনা খাতুন কে পুনর্বহাল করেন। কিন্তু মো. আদিল হোসেন এর পরিবর্তে সিহাব শেখকে নিয়োগ প্রদান করায় আদিল হোসেনকে পুনর্বহাল না করে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং থানায় অভিযোগ দিয়ে তাকে রাজশাহীতে আসতে বাধা সৃষ্টি করেন। তার পরও মো. আদিল হোসেন, বারবার তার কাছে আনুরোধ করলেও তিনি তাকে ফিরিয়ে দেন।

গত ০৩/০৯/২০২০ তারিখে মো. আদিল হোসেন ও তার চাচা ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পুনরায় কাজে যোগদানে জন্য আবেদন জমা দিতে গেলে তিনি আবেদন পত্র গ্রহণ করেন। তিনি বলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মহোদয়ের পিএস তাকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন। তার চাচা মেয়র মহোদয়ের পিএস মো. আলমগীর কবির এর কাছে গেলে তিনি বিষয়টি সম্বন্ধে অবগত নন বলে জানান। জনাব আলমগীর কবির জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তাকে মো. আদিল হোসেন কে কর্মে যোগদানের ব্যবস্থা করতে বলেন। কিন্তু তারপরও তিনি তাকে তার কার্যালয়ে প্রবেশ করতে বাধা দেন। এবং রাজপাড়া থানায় আদিল হোসেন ও তার চাচার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করে হয়রানি করেন। তিনি বলেন তার বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় অফিসে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে সিদ্ধান্ত আসলে তাকে ডাকা হবে কিন্তু তিনি কোন পত্র দেখাতে পারেননি।

গত ৩০/১২/২০১৯ তারিখের জেলা স্টিয়ারিং কমিটির সভার ৩ নং অনুচ্ছেদ মোতাবেক গার্ড, আয়া ও বাবুর্চির শাস্তিমূলক ভাবে সাময়িক বেতন বন্ধ রাখা হয়। তবে কিভাবে ১১/০৪/২০১৯ তারিখে তাদের অব্যাহতি প্রদান করা হলো। ইহাতেই প্রমানিত হয় নীতিমালার তোয়াক্কা না করে মো. মন্জুর কাদের নিজের খেয়ালখুশি মত সরকারি অফিস পরিচালনা করছেন। তার এহেন ভুল সিদ্ধান্তের ফলে এই পরিবার গুলো অসহায় মানবেতর জীবনযাপন করছে।
এ বিষয়ে কথা বললে মঞ্জুর কাদের সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে