রাজশাহী প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর কাটাখালী থানাধীন শাহাপুর এলাকায় চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। প্রশাসনের ধরা ছোয়ার বাইরের থেকে যাচ্ছে ইসাহাকের ছেলে মাদক সম্রাট লতিব, মিরজুল, রাব্বেল, মুকুল, আলী।

এ সকল মাদকের রমরমা ব্যবসায়িরা তাদের মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এমনি অভিযোগ উঠেছে মাদকের সাথে জড়িত থাকা তাদের বিরুদ্ধে।

তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদক মামলা থাকলেও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলছে, বাংলাদেশে আমদানী নিষিদ্ধ ভারত থেকে আসা ফেন্সিডিল ও ইয়াবার ব্যবসা।

মহামারী করোনা ভাইরাসকে জিম্মি করে বেশি মোনাফার আসায় ফেন্সিডিল ও ইয়াবার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে সে এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একাধিক মাদক মামলার আসামী লতিফ। আনুমানিক ১০ থেকে ১২ বছর যাবত সে মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িত। কৃষি কাজ করে জিবিকা নির্বাহ করা এ লতিফ মাত্র ১০/১২ বছরের ব্যবধানে মাদক ব্যবসা করেই কোটিপতি হয়ে গেছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

তার বিষয়ে জানে না ওই এলাকায় এমন কোন মানুষ নেই। এদিকে থেমে নেই মিরজুল ও রাব্বেল মিরজুল মাদক ব্যবসা করে কয়েকটি ট্রাকের মালিক আর সেই ট্রাকে করেই মাদকের চালান চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। রাব্বেল ফেন্সিডিলের ব্যবসা করেই গড়ে তুলেছে আলিসান বাড়ির।

সারাদেশে পুলিশ প্রশাসন যখন করোনা ভাইরাস প্রদূভার্ব ঠেকাতে এবং জনসচেতনতা মূলক প্রচারনা করে দেশের মানুষের জীবন বাঁচাতে ব্যস্ত। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে লতিফ, মিরজুল, রাব্বেল, আলী ভারতের ১০নং পিলার কলাবাগান থেকে হাজার হাজার বোতল ফেন্সিডিল ও ইয়াবার চালান তুলে পাইকারী ও খুচরা ব্যবসা চালিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

লতিফ, মিরজুল, রাব্বেল, মুকুল, আলীর মাদক ব্যবসা ঠেকাতে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।

তারা আরো বলেন মাদকের বিষয়ে কেউ মুখ খুললেই প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন এ সকল মাদক গডফাদারা

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাদক ব্যবসায়ী বলেন শাহাপুর, টাংগন, মুক্তারপুর, কাটাখালী, ইউসুফপুর বেলঘড়িয়া এলাকার খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতিনিয়তই ফেন্সিডিল ও ইযাবা চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে মাদক সম্রাাট লতিফ, মুকুল, রাব্বেল ও আলী।
সে আরো বলেন মাদক সম্রাট লতিফের ৪/৫ জন সহকারী আছে সে প্রতিদিনি ৪০০/৫০০ ফেন্সিডিল ৩০০০/৪০০০ ইয়াবা ট্যাবলেট রাতের আধারে তোলে। সেখান থেকে চলে যাই খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে।
লতিফ এছাড়া হলিদাগাছী শশুর বাড়ি থেকে ফেন্সিডিল,ইয়াবা ট্যাবলেট বিভিন্ন্ পরিবহনের মাধ্যমে ঢাকার রাজধানী শহরসহ বিভিন্ন্ জায়গায় মাদক সাপ্লাই দেই বলে অনুসন্ধানে পাওয়া যায়।
এছাড়াও,শাহাপুর এলাকায় খুচরা ব্যবসায়ী মুকুল, সেলিম, টাংগন এলাকার বিলকিস, চাইনা, জাহিদ, কালু, সাথী, মতিহার থানাধিন জাহাটঘাট এলাকার মাদক ব্যবসায়ী জাব্বার, মহব্বতের ঘাট এলাকার জিল্লুর ছেলে পিন্টু, সাত বাড়িয়া স্কুল মোড় এলাকার অটো চালক বকুল জামাল, তেল রফিক, পালা।

মিজানের মোড় এলাকার সুমন ও তার স্ত্রী রঙ্গিলা , শাহিন ও তার ছেলে, মিঠু, রবিউল, আসলাম, কামরুল, মিলন, শহিদ, রুমা, রুনা, চাম্পাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মাদক ব্যবসায়ী দিন রাত ফেন্সিডিল, হেরোইন, ইয়াবা ও গাঁজার ব্যবসা চালাচ্ছে। এরা করোনাভাইরাসের চেয়ে ভয়াবহ বলেও জানায় স্থানীয়রা।এ বিষয়ে কাটাখালি থানার ওসি মশিউর রহমানকে তার মোঠফোনে কল দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে