রাজশাহী প্রতিনিধিঃ

শনিবার ১৬ জানুয়ারী রাজশাহীর তিনটি পৌরসভার ভোট গ্রহন হয়েছে।এর মধ্যে ২টিতে নৌকার জয় হয়েছে। আর ১টিতে নির্বাচিত হয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থী। ভোট গননা শেষে তাদের বেসরকারি ভাবে বিজীয় ঘোষণা করা হয়।

বিজয়ীরা হলেন, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাটে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী একেএম আতাউর রহমান খান। তিনি ভোট পেয়েছেন ৫৫৮৫ ভোট। তিনি ৪৬৩ ভোটের ব্যবধানে বিজীয় হয়েছেন।বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জে বিজীয় হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী আব্দুল মালেক মন্ডল। তিনি ভোট পেয়েছেন ৭৩৯৯ ভোট। তিনি ৪৭০০ ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হন। আর বাঘা উপজেলার আড়ানীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলী বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৫৯০২ ভোট।

সূত্র মতে – তিন পৌরসভায় মোট ভোটার সংখা ৪১ হাজার ৬৫৪ জন। আর কেন্দ্রের সংখ্যা ২৯টি। এর মধ্যে বাগমারার ভবানীগঞ্জ পৌরসভায় ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে । আর কাকন হাট ও আড়ানী পৌরসভায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাগমারার ভবানীগঞ্জ পৌরসভায় ব্যালটে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই পৌরসভায় নারী-পুরুষ মিলে ১৪ হাজার ৪০৫ জন ভোটার। নয়টি ওয়ার্ডের প্রত্যকটিতে একটি করে ভোট কেন্দ্র। এছাড়া এই নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের আবদুল মালেক মন্ডল। নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন। এছাড়া বিএনপির প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক প্রামাণিক ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী দুইজন রয়েছেন। এই পৌরসভায় নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

অন্যদিকে, বাঘার আড়ানী পৌরসভায় নির্বাচনকে ঘিরে বেশ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শহিদুজ্জামান শহিদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান মেয়র মুক্তির আলীর সমর্থকদের মধ্যে মারপিট ও আড়ানী বাজারের দোকানপাট ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এসব ঘটনায় স্থানীয় থাকায় বিষ্ফোরক আইনের ৬০০ জনকে আসামি করে মামলা দারে করেন- নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি।

এছাড়া এই পৌরসভায় মোট ভোটার ১৩ হাজার ৮৮৪ জন। এভিএমএ ভোটগ্রহণের জন্য নয়টি ওয়ার্ডের প্রত্যকটিতে একটি করে কেন্দ্র করা হয়েছে। এ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী তোজাম্মেল হক ছাড়াও স্বতন্ত্র দুজন প্রার্থী ছিলেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র মুক্তার আলী ছাড়াও রিবন আহম্মেদ বাপ্পি সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

এদিকে, গোদাগাড়ীর কাকন হাট পৌরসভার বর্তমান মেয়র আব্দুল মজিদ বাদে নৌকার প্রতীক পেয়েছেন, একেএম আতাউর রহমান খান। এছাড়া বিএনপির প্রার্থী হাফিজুর রহমান হাফিজ। আর জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন রুবন হাসান। এই পৌরসভায় পরিবেশ সুষ্ঠ থাকায় নিজ নিজ পক্ষে নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা বিষয়টি একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে