রাজশাহী প্রতিনিধি :
রাজশাহীর তানোরে মেঘলা বেগম (২১) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে পুলিশ তাঁর স্বামী জনি মন্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে। গত সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে উপজেলার সরনজাই ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুপুরে মেঘনার পিতা ওহাব আলী বাদি হয়ে মেয়ে জামাই জনি মন্ডলকে আসামী করে তানোর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
থানা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত তিন বছর আগে পাশের মোহনপুর উপজেলার কাশিমালা গ্রামের ওহাব আলী মেয়ে মেঘনার সঙ্গে তানোর উপজেলার সরনজাই কাচারীপাড়া গ্রামের লাল মোহাম্মদ মন্ডলের ছেলে জনি মন্ডলের বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের মধ্যে দ্বন্ধ লেগে থাকতো। যার কারণে মেঘনাকে তার স্বামী প্রায় মারপিট করতো। সর্বশেষ গত ১৫ সেপ্টেম্বর মেঘনা রাগ করে তার পিতা’র বাড়ি কাশিমালা গ্রামের চলে আসেন।
গত রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) জনি তার স্ত্রীকে নিতে শ্বশুর বাড়িতে যায়। বেলা ১২টার দিকে জনি তার স্ত্রী মেঘনাকে নিয়ে নিজ গ্রাম সরনজাই কাচারীপাড়ায় আসেন। রাতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি লাগে। সোমবার সকালে মেঘনার লাশ নিজ ঘরের বারান্দায় গলায় দড়ি পরানো অবস্থায় ঝুলে থাকে। বাড়ির অন্য সদস্যরা মেঘনাকে ঝুলতে দেখে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে খবর দেয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠান। এ ঘটনায় মেঘলার বাবা ওহাব আলী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকে মেঘনার স্বামী জনি পলাতক ছিলেন। পুলিশ কৌশল করে ওই গ্রামের এক বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন।
মেঘনার পিতা ওহাব আলী বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করবে না। তার দুই বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। আমার জামাই জনি মন্ডল আমার মেয়েকে হত্যা করে লাশ দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি এর বিচার চাই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তানোর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) রাকিবুল হাসান জানান, দুপুরে নিহত মেঘলার লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।