রাজশাহী প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর পুঠিয়ায় লকডাউন চলাকালে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালাতে গিয়ে প্রাইভেটকারের নিচে চাপা পড়ে আবদুল লতিফ (৫৫) নামের এক পরিবহন শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বানেশ্বর বাজারে একটি তেলপাম্পের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আবদুল লতিফ নোয়াখালী জেলার সেনভাগ থানার ইদলপুর গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে। তিনি কাভার্ডভ্যানের হেলপার ছিলেন।

প্রাইভেটকারটির মালিক তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান মিজান। তিনি দুর্ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

একাধিক সূত্র জানায়, পুঠিয়ায় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুক্রবার রাতে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পুলিশ নিয়ে বানেশ্বর বাজারে যান। এ সময় পুলিশ আড্ডারত লোকজনকে ধাওয়া দিলে আতঙ্কে পালাতে গিয়ে প্রাইভেটকারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে গুরুতর আহত হন আব্দুল লতিফ। তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

প্রাইভেটকারটির মালিক বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিজান দুর্ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, আমি পুঠিয়ার দিকে যাচ্ছিলাম। আমার গাড়িটি বানেশ্বর এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ একজন দৌড়ে এসে গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খায়। স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে পুঠিয়া শিবপুর হাইওয়ে পুলিশ ইনচার্জ লুৎফর রহমান জানান, নিহত লতিফ কাভার্ডভ্যানের হেলপার। তারা কাভার্ডভ্যান নিয়ে নোয়াখালী উদ্দেশে যাচ্ছিল। বানেশ্বরে একটি খাবার হোটেলে তারা নাস্তা করতে নামেন। এ সময় রাস্তা পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনা স্বীকার হয়। হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ফাঁড়িতে আনা হয়েছে এবং প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দুর্ঘটনাজনিত মামলা হবে বলেও জানান তিনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে