Dhaka ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
বাংলাদেশি হলে গ্রহণ করা হবে, ভারতের পুশইন ইস্যুতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা আপাতত গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই: উপদেষ্টা দেশের প্রধান অর্থনৈতিক উদ্বেগ মূল্যস্ফীতি তিউনিশিয়া থেকে ১৫৬ কোটি ব্যয়ে ২৫ হাজার টন সার কিনবে সরকার অনলাইনে রিটার্ন ১৬ লাখ ছাড়িয়েছে উপদেষ্টাদের বিদেশ সফরের বিল সংক্রান্ত ইস্যুতে নতুন নির্দেশনা পাক-ভারত সংঘাত : সীমান্তের জেলাগুলোতে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ ভাঙা হবে কমলাপুর স্টেশন, হবে ‘মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট হাব’ সশস্ত্র বাহিনীকে পাল্টা জবাব দেওয়ার অনুমতি দিলো পাকিস্তান ‘বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় আর বাকি সবকিছু মায়ের জন্য’

রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দিতে হবে : আলী রীয়াজ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:১৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • ৪ Time View

ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, মৌলিক বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্যে আসার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দিতে হবে।

বুধবার (৭ মে) জাতীয় সংসদ ভবনের এল. ডি হলে নাগরিক ঐক্যের বর্ধিত আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

আলোচনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় সনদ তৈরির জন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন উল্লেখ করে অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্ন অবস্থান থাকা সত্ত্বেও কিছু মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্যে আসতে হবে। আর এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ছাড় দিবেন। তাদের কাছ থেকে কমিশন এটাই প্রত্যাশা করে।

তিনি বলেন, কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করছে, তবে শুধু কমিশনের আলোচনায় যথেষ্ট নয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের সহযোগী ও প্রতিপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় সনদ তৈরির লক্ষ্যে একমত হতে হবে।

নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সারের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলের হয়ে মোফাখখারুল ইসলাম নবাব, মঞ্জুর কাদির, শাহনাজ রানু, ফেরদৌসী আক্তার সুমি এবং সাকিব আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন।

সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কমিশন কার্যক্রম শুরু করে। প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার, জনপ্রশাসন সংস্কার, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার, বিচার বিভাগ সংস্কার এবং দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত সুপারিশগুলো নিয়ে মতামত চাওয়া হয়।

এ পর্যন্ত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩৫টি দলের মতামত পেয়েছে কমিশন। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ইতোমধ্যে নাগরিক ঐক্যসহ ২৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা শেষ করেছে কমিশন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

বাংলাদেশি হলে গ্রহণ করা হবে, ভারতের পুশইন ইস্যুতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দিতে হবে : আলী রীয়াজ

Update Time : ০৬:১৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, মৌলিক বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্যে আসার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দিতে হবে।

বুধবার (৭ মে) জাতীয় সংসদ ভবনের এল. ডি হলে নাগরিক ঐক্যের বর্ধিত আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

আলোচনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় সনদ তৈরির জন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন উল্লেখ করে অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্ন অবস্থান থাকা সত্ত্বেও কিছু মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্যে আসতে হবে। আর এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ছাড় দিবেন। তাদের কাছ থেকে কমিশন এটাই প্রত্যাশা করে।

তিনি বলেন, কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করছে, তবে শুধু কমিশনের আলোচনায় যথেষ্ট নয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের সহযোগী ও প্রতিপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় সনদ তৈরির লক্ষ্যে একমত হতে হবে।

নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সারের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলের হয়ে মোফাখখারুল ইসলাম নবাব, মঞ্জুর কাদির, শাহনাজ রানু, ফেরদৌসী আক্তার সুমি এবং সাকিব আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন।

সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কমিশন কার্যক্রম শুরু করে। প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার, জনপ্রশাসন সংস্কার, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার, বিচার বিভাগ সংস্কার এবং দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত সুপারিশগুলো নিয়ে মতামত চাওয়া হয়।

এ পর্যন্ত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩৫টি দলের মতামত পেয়েছে কমিশন। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ইতোমধ্যে নাগরিক ঐক্যসহ ২৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা শেষ করেছে কমিশন।