কোটি কোটি টাকা খরচ করে পানি শোধনাগার স্থাপন করা হলেও সুপেয়-নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত রাজধানীর মানুষ। সরবরাহ লাইন ঠিকঠাক না থাকায় প্রতিনিয়ত ময়লা, দুর্গন্ধযুক্ত পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। অভিযোগ করেও সমাধান মিলছে না।
ঢাকা ওয়াসার পদ্মা-জশলদিয়ার সাথে সাথে সায়েদাবাদেও একটি বড় শোধনাগার স্থাপন করা হয়। খরচ তিন হাজার কোটি টাকার বেশি। প্রতিদিন ৪৮ হাজার কোটি লিটার পানি উৎপাদন হচ্ছে এখান থেকে।
এই প্ল্যান্ট থেকে চাহিদার বড় একটা পূরণ হচ্ছে। কিন্তু সরবরাহ লাইন খারাপ থাকায় গ্রাহককে নিরাপদ পানি দিতে পারছেনা ঢাকা ওয়াসা। অনেক এলাকায় মানুষ ঠিকমতো পানিও পাচ্ছে না। পানিতে ময়লা ও দুর্গন্ধের অভিযোগও আছে।
এলাকার ভুক্তভোগীরা জানান, এই পানি কেউ খাইতেও পারে না, গোসলও করতে পারে না। পানির জন্য ঝগড়া-মারামারিও হয়। পানিতে আবর্জনা বের হয়, তা দিয়ে কোন কাজ করা যায় না। শুধু গন্ধ ছড়ায়। মোটকথা ওয়াসার লাইন থেকে ময়লা পানি আসে।
ভুক্তভোগীরা আরও জানান, পাম্প থেকে আমরা পানি কিনে এনে খাই। কার্ড করি দেড়শ’ টাকা দিয়ে, পরে আরও ৫০ থেকে ১শ’ টাকা ভরতে হয় কার্ডে। অন্য আরেকজন জানান, এই পানিতে দিয়ে গোসল করলে শরীর ও কাপড় দিয়ে গন্ধ ছড়ায়। বাচ্চাদের গোসল করালে তাদের শরীর চুলকায়।
বিষয়টি নিয়ে যথারীতি হতাশ ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি জানান, সরবরাহ লাইন ঠিক করতে বছরের পর বছর চেষ্টা করেও ফান্ড পাওয়া যাচ্ছে না।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বলেন, ২০১৩ সাল থেকে ফান্ডের জন্য কনটিনিউয়াস সরকার ধর্ণা দিয়ে আসছে। কোথায় না ধর্ণা দিয়েছি, কিন্তু কেউ ফান্ড দেয়নি। শেষ পর্যন্ত ডানিডা দিচ্ছে। কাজেই এ দিয়ে ৭০% সার্ফেস ওয়াটার এবং ৩০% আন্ডার গ্রাউন্ডের যে লক্ষ্য, সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।
সরবরাহ লাইন ঠিকঠাক না থাকলে পানি শোধনাগারের পানি কতটুকুইবা নাগরিকদের উপকারে আসছে? এ প্রশ্নটিই এখন সামনে চলে এসেছে।