Dhaka ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২ পোল্যান্ডের বাংলাদেশের দূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম ‘পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠতে প্রস্তুত বাংলাদেশ’ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার সাক্ষী আবছার আটক ১৩ দিন বৃষ্টিবলয়ে থাকবে পুরো দেশ, হবে কালবৈশাখী-বজ্রপাত যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক স্থগিত করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লুট হওয়া অস্ত্র নিরাপত্তার জন্য হুমকি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

রাজধানীর মানুষ সুপেয়-নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৫১:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ৬৮ Time View

কোটি কোটি টাকা খরচ করে পানি শোধনাগার স্থাপন করা হলেও সুপেয়-নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত রাজধানীর মানুষ। সরবরাহ লাইন ঠিকঠাক না থাকায় প্রতিনিয়ত ময়লা, দুর্গন্ধযুক্ত পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। অভিযোগ করেও সমাধান মিলছে না।

ঢাকা ওয়াসার পদ্মা-জশলদিয়ার সাথে সাথে সায়েদাবাদেও একটি বড় শোধনাগার স্থাপন করা হয়। খরচ তিন হাজার কোটি টাকার বেশি। প্রতিদিন ৪৮ হাজার কোটি লিটার পানি উৎপাদন হচ্ছে এখান থেকে।

এই প্ল্যান্ট থেকে চাহিদার বড় একটা পূরণ হচ্ছে। কিন্তু সরবরাহ লাইন খারাপ থাকায় গ্রাহককে নিরাপদ পানি দিতে পারছেনা ঢাকা ওয়াসা। অনেক এলাকায় মানুষ ঠিকমতো পানিও পাচ্ছে না। পানিতে ময়লা ও দুর্গন্ধের অভিযোগও আছে।

এলাকার ভুক্তভোগীরা জানান, এই পানি কেউ খাইতেও পারে না, গোসলও করতে পারে না। পানির জন্য ঝগড়া-মারামারিও হয়। পানিতে আবর্জনা বের হয়, তা দিয়ে কোন কাজ করা যায় না। শুধু গন্ধ ছড়ায়। মোটকথা ওয়াসার লাইন থেকে ময়লা পানি আসে।

ভুক্তভোগীরা আরও জানান, পাম্প থেকে আমরা পানি কিনে এনে খাই। কার্ড করি দেড়শ’ টাকা দিয়ে, পরে আরও ৫০ থেকে ১শ’ টাকা ভরতে হয় কার্ডে। অন্য আরেকজন জানান, এই পানিতে দিয়ে গোসল করলে শরীর ও কাপড় দিয়ে গন্ধ ছড়ায়। বাচ্চাদের গোসল করালে তাদের শরীর চুলকায়।

বিষয়টি নিয়ে যথারীতি হতাশ ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি জানান, সরবরাহ লাইন ঠিক করতে বছরের পর বছর চেষ্টা করেও ফান্ড পাওয়া যাচ্ছে না।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বলেন, ২০১৩ সাল থেকে ফান্ডের জন্য কনটিনিউয়াস সরকার ধর্ণা দিয়ে আসছে। কোথায় না ধর্ণা দিয়েছি, কিন্তু কেউ ফান্ড দেয়নি। শেষ পর্যন্ত ডানিডা দিচ্ছে। কাজেই এ দিয়ে ৭০% সার্ফেস ওয়াটার এবং ৩০% আন্ডার গ্রাউন্ডের যে লক্ষ্য, সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।

সরবরাহ লাইন ঠিকঠাক না থাকলে পানি শোধনাগারের পানি কতটুকুইবা নাগরিকদের উপকারে আসছে? এ প্রশ্নটিই এখন সামনে চলে এসেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২

রাজধানীর মানুষ সুপেয়-নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত

Update Time : ০৯:৫১:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

কোটি কোটি টাকা খরচ করে পানি শোধনাগার স্থাপন করা হলেও সুপেয়-নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত রাজধানীর মানুষ। সরবরাহ লাইন ঠিকঠাক না থাকায় প্রতিনিয়ত ময়লা, দুর্গন্ধযুক্ত পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। অভিযোগ করেও সমাধান মিলছে না।

ঢাকা ওয়াসার পদ্মা-জশলদিয়ার সাথে সাথে সায়েদাবাদেও একটি বড় শোধনাগার স্থাপন করা হয়। খরচ তিন হাজার কোটি টাকার বেশি। প্রতিদিন ৪৮ হাজার কোটি লিটার পানি উৎপাদন হচ্ছে এখান থেকে।

এই প্ল্যান্ট থেকে চাহিদার বড় একটা পূরণ হচ্ছে। কিন্তু সরবরাহ লাইন খারাপ থাকায় গ্রাহককে নিরাপদ পানি দিতে পারছেনা ঢাকা ওয়াসা। অনেক এলাকায় মানুষ ঠিকমতো পানিও পাচ্ছে না। পানিতে ময়লা ও দুর্গন্ধের অভিযোগও আছে।

এলাকার ভুক্তভোগীরা জানান, এই পানি কেউ খাইতেও পারে না, গোসলও করতে পারে না। পানির জন্য ঝগড়া-মারামারিও হয়। পানিতে আবর্জনা বের হয়, তা দিয়ে কোন কাজ করা যায় না। শুধু গন্ধ ছড়ায়। মোটকথা ওয়াসার লাইন থেকে ময়লা পানি আসে।

ভুক্তভোগীরা আরও জানান, পাম্প থেকে আমরা পানি কিনে এনে খাই। কার্ড করি দেড়শ’ টাকা দিয়ে, পরে আরও ৫০ থেকে ১শ’ টাকা ভরতে হয় কার্ডে। অন্য আরেকজন জানান, এই পানিতে দিয়ে গোসল করলে শরীর ও কাপড় দিয়ে গন্ধ ছড়ায়। বাচ্চাদের গোসল করালে তাদের শরীর চুলকায়।

বিষয়টি নিয়ে যথারীতি হতাশ ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি জানান, সরবরাহ লাইন ঠিক করতে বছরের পর বছর চেষ্টা করেও ফান্ড পাওয়া যাচ্ছে না।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বলেন, ২০১৩ সাল থেকে ফান্ডের জন্য কনটিনিউয়াস সরকার ধর্ণা দিয়ে আসছে। কোথায় না ধর্ণা দিয়েছি, কিন্তু কেউ ফান্ড দেয়নি। শেষ পর্যন্ত ডানিডা দিচ্ছে। কাজেই এ দিয়ে ৭০% সার্ফেস ওয়াটার এবং ৩০% আন্ডার গ্রাউন্ডের যে লক্ষ্য, সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।

সরবরাহ লাইন ঠিকঠাক না থাকলে পানি শোধনাগারের পানি কতটুকুইবা নাগরিকদের উপকারে আসছে? এ প্রশ্নটিই এখন সামনে চলে এসেছে।