অনুকূল বিশ্বাস,মালদহ জেলা প্রতিনিধি,ভারত :
রবি ঠাকুর বাঙালির হৃদয়ে,মননে ও চেতনায় সদা বিরাজমান।তাঁর ভাবনা আমাদের পাথেয়। তিনি বাঙালির সাহিত্য ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক।তাঁর দেখানো পথ বাঙালির চির চেনা পথ।
তাই তো রবীন্দ্রনাথের ১৬২তম জন্মজয়ন্তী পালন উপলক্ষে ১৪ই মে,২০২৩ এ মালদহ জেলার ‘প্রিয়জনেষু সাহিত্য পত্রিকা’ কালিয়াচকের নজরুল ভবনে এক নান্দনিক রবীন্দ্র সন্ধ্যার আয়োজন করেছিল।
এমন এক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজনে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন কালিয়াচকেরই দুই শিক্ষানুরাগী সাহিত্য ও সংস্কৃতিমনস্ক ব্যক্তিত্ব। শুরুতেই তাদের কথা উল্লেখ না করলেই নয়।
তাঁরা হলেন জি. বি. এস. উচ্চ মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক সম্মানীয় শাকিলুর রহমান ও কালিয়াচক গার্লস হাই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষিকা রোকেয়া চৌধুরী দিদিমণি।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কালিয়াচক কলেজের অধ্যক্ষ সম্মানীয় নাজিবুর রহমান, প্রিয়জনেষুর সম্পাদক ও প্রাক্তন জেলা শিক্ষা সমাহর্তা মাননীয় শ্রী পার্থসারথি ঝা এবং বিদ্যার্থী গবেষক আলিফিয়া ইবকারকে বরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। তারপর অতিথিবৃন্দ রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন।
এরপর স্বাগত ভাষণ দেন পার্থসারথি ঝা মহাশয়। সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথের অকৃত্রিম ভূমিকা নিয়ে দু চার কথা বলেন নাজিবুর রহমান সাহেব।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী চমক ছিল কবিতার ফোল্ডার উদ্বোধন।এক গুচ্ছ কবিতার মোহর নিয়ে তৈরি এই ফোল্ডারের যুগ্ম সম্পাদক কুহেলি সরকার ও অনুজ ভৌমিকের উপস্থিতিতে অতিথিরা ফোল্ডারের মোড়ক উন্মোচন করেন।এরপর অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে নৃত্য পরিবেশন করেন অনামিকা রায়,পায়েল নৃত্যকলা, বসুধা কর্মকার ও আলিফিয়া ইবকার।
রবি ঠাকুরের উপর লেখা অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন অনুকূল বিশ্বাস ও কুহেলি সরকার। গান পরিবেশনেও বিভিন্ন শিল্পীর বৈচিত্র বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয় ছিল। সুমধুর কণ্ঠে সংগীত পরিবেশন করেন প্রণয় পাল, রূপালী ব্যানার্জি ,অনুজ ভৌমিক ,ঐদ্র্রিলা কর্মকার, সুনিয়া কর্মকার ও পল্লবী বেরা।
অনুষ্ঠানের রসবোধ পরিবর্তনে কবিতা আবৃত্তি করেন জয়শ্রী মুখোপাধ্যায় ঝা, মধুমিতা কর্মকার,সন্ধ্যা কর্মকার,মায়া সরকার, জারিন ইফরাত, রোজিংকা চৌধুরী, রুকাইয়া ইসলাম, তানিয়া রহমান ও আফিয়া আলম। অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল বিশিষ্ট কবি পার্থ বসুর ‘বর্তমান সময়ে বাংলা ভাষা’– নিয়ে বিশেষ আলোচনা। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিদ্যার্থী গবেষক আলিফিয়া ইবকারের ভূগর্ভস্থ জল নিয়ে গবেষণার জন্য প্রিয়জনেষুর পক্ষ থেকে তাকে সম্বর্ধনা জানানো হয়। পুরো অনুষ্ঠানে কালিয়াচকের সাহিত্য ও সংস্কৃতিমনস্ক মানুষদের উপস্থিতি বিশেষভাবে নজর কেড়েছিল। অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত দর্শক ও শ্রোতা মোহিত হয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন। সবশেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্য রাখেন রোকেয়া চৌধুরী।পুরো অনুষ্ঠানটি সুচারু ভাবে সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন বিশিষ্ট কবি গৌরাঙ্গ দেব ভার্মা।