Dhaka ০২:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রণবাঘা ও ওমরপুর হাট অবৈধ কারেন্ট জালে সয়লাব

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৩০:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুলাই ২০২০
  • ২৩৪ Time View

 

নন্দীগ্রাম (বগুড়া)প্রতিনিধি :

নন্দীগ্রাম উপজেলার পৌরসভার হাট-বাজার গুলোতে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলতি ভরা বর্ষা মৌসুমে অবৈধ কারেন্ট জাল বিক্রয়ের রমরমা ব্যবসা চলিয়ে যাচ্ছে অসাধু কিছু ব্যবসায়ীরা।

নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা হাটে কারেন্ট জালের রমরমা ব্যবসা হাটের দিন হলে দোকান গুলোতে অবৈধ কারেন্ট জাল সাজিয়ে রেখে প্রকাশ্যে বিক্রি হলে এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেই প্রশাসনের। কারেন্ট জাল দিয়ে নিধন করা হচ্ছে দেশি প্রজাতির সব ধরনের মাছের পোনা।

ফলে উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদীর নানান প্রজাতির মাছের বংশ বিপন্নতার মধ্যে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

উপজেলার ওমুরপুর ও রণবাঘা হাটের কারেন্ট জাল ব্যবসায়ীরা মৎস্য বিভাগের কতিপয় অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ম্যানেজ করে হাটবারে অবৈধ কারেন্ট জাল অবাধ বাণিজ্য গড়ে তুলেছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধ এ কারেন্ট জাল আশে-পাশের উপজেলাসহ কয়েকটি জেলায় পাইকারি এবং খুচরা বিক্রয় করে থাকেন।

শুধু নদী খালে সীমাবদ্ধ নয়, বিল-ঝিলেও ব্যবহার করা হচ্ছে এই কারেন্ট জাল, ফলে এ জাল দিয়ে নিধন করা হচ্ছে দেশি প্রজাতির ছোট-বড় সব ধরনের মাছের পোনা।
এমনকি মাগুড়, শিং, কই, পুঁটি, মোয়া, চাঁন্দা ডিমওয়ালা মাছ পর্যন্ত এই জালের ফাঁদে আটকা পড়ছে। আর এসব প্রজাতির মাছ এখন প্রকাশ্যে বিভিন্ন স্থানের মাছের আড়ৎ গুলোতে বিক্রি হচ্ছে।

অথচ নন্দীগ্রাম উপজেলা মৎস্য অফিস থাকা স্বত্ত্বেও তারা রহস্যজনক কারণে নীরব থাকছে। এলাকাবাসি জানান, কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ীদের দোকান ও গুদামে লাখ লাখ টাকার কারেন্ট জাল মজুদ রয়েছে। তারা সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রণবাঘা মাছের আড়ৎ, মসজিদ ও মাদ্রাসা মার্কেটে শুক্রবার ও সোমবার হাটবার দোকানে সাজিয়ে প্রকাশ্যে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করছেন এ অবৈধ কারেন্ট জাল।

আর এ অবৈধ কারেন্ট জাল উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা জেলে ও মৎস্য শিকারীরা কিনে নিয়ে নিজ নিজ এলাকার নদ-নদী বিলে খালে দেশী প্রজাতির মা মাছ ও পোনা মাছ নিধন করা হচ্ছে।

এতে করে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দেশীয় মাছ। সচেতন মহলের দাবী এখনি অবৈধ কারেন্ট জাল ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে সরকারি ভাবে ব্যবস্থা না নেয়া হলে তারা আগামীতে আরো বেপোয়ারা হয়ে উঠবে।

এ প্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মোঃ ফেরদৌস আলী বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অবৈধ কারেন্ট জাল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

রণবাঘা ও ওমরপুর হাট অবৈধ কারেন্ট জালে সয়লাব

Update Time : ০৭:৩০:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুলাই ২০২০

 

নন্দীগ্রাম (বগুড়া)প্রতিনিধি :

নন্দীগ্রাম উপজেলার পৌরসভার হাট-বাজার গুলোতে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলতি ভরা বর্ষা মৌসুমে অবৈধ কারেন্ট জাল বিক্রয়ের রমরমা ব্যবসা চলিয়ে যাচ্ছে অসাধু কিছু ব্যবসায়ীরা।

নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা হাটে কারেন্ট জালের রমরমা ব্যবসা হাটের দিন হলে দোকান গুলোতে অবৈধ কারেন্ট জাল সাজিয়ে রেখে প্রকাশ্যে বিক্রি হলে এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেই প্রশাসনের। কারেন্ট জাল দিয়ে নিধন করা হচ্ছে দেশি প্রজাতির সব ধরনের মাছের পোনা।

ফলে উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদীর নানান প্রজাতির মাছের বংশ বিপন্নতার মধ্যে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

উপজেলার ওমুরপুর ও রণবাঘা হাটের কারেন্ট জাল ব্যবসায়ীরা মৎস্য বিভাগের কতিপয় অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ম্যানেজ করে হাটবারে অবৈধ কারেন্ট জাল অবাধ বাণিজ্য গড়ে তুলেছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধ এ কারেন্ট জাল আশে-পাশের উপজেলাসহ কয়েকটি জেলায় পাইকারি এবং খুচরা বিক্রয় করে থাকেন।

শুধু নদী খালে সীমাবদ্ধ নয়, বিল-ঝিলেও ব্যবহার করা হচ্ছে এই কারেন্ট জাল, ফলে এ জাল দিয়ে নিধন করা হচ্ছে দেশি প্রজাতির ছোট-বড় সব ধরনের মাছের পোনা।
এমনকি মাগুড়, শিং, কই, পুঁটি, মোয়া, চাঁন্দা ডিমওয়ালা মাছ পর্যন্ত এই জালের ফাঁদে আটকা পড়ছে। আর এসব প্রজাতির মাছ এখন প্রকাশ্যে বিভিন্ন স্থানের মাছের আড়ৎ গুলোতে বিক্রি হচ্ছে।

অথচ নন্দীগ্রাম উপজেলা মৎস্য অফিস থাকা স্বত্ত্বেও তারা রহস্যজনক কারণে নীরব থাকছে। এলাকাবাসি জানান, কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ীদের দোকান ও গুদামে লাখ লাখ টাকার কারেন্ট জাল মজুদ রয়েছে। তারা সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রণবাঘা মাছের আড়ৎ, মসজিদ ও মাদ্রাসা মার্কেটে শুক্রবার ও সোমবার হাটবার দোকানে সাজিয়ে প্রকাশ্যে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করছেন এ অবৈধ কারেন্ট জাল।

আর এ অবৈধ কারেন্ট জাল উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা জেলে ও মৎস্য শিকারীরা কিনে নিয়ে নিজ নিজ এলাকার নদ-নদী বিলে খালে দেশী প্রজাতির মা মাছ ও পোনা মাছ নিধন করা হচ্ছে।

এতে করে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দেশীয় মাছ। সচেতন মহলের দাবী এখনি অবৈধ কারেন্ট জাল ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে সরকারি ভাবে ব্যবস্থা না নেয়া হলে তারা আগামীতে আরো বেপোয়ারা হয়ে উঠবে।

এ প্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মোঃ ফেরদৌস আলী বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অবৈধ কারেন্ট জাল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।