রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মানুষের প্রয়োজনে রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদানে উদ্বুদ্ধ করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহবান জানিয়েছেন।
জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস উপলক্ষে দেয়া বাণীতে তিনি আজ এ আহবান জানান।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদ ও সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির যৌথ উদ্যোগে ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস-২০২০’ দেশব্যাপী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘সন্ধানী’ বিগত ৪৩ বছর যাবত আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত থেকে জরুরি অস্ত্রোপচারসহ মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাতে স্বেচ্ছায় রক্তদানকে একটি জনপ্রিয় সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করেছে। এর পাশাপাশি অন্ধত্ব দূরীকরণে জনগণকে মরণোত্তর চক্ষুদানে উদ্বুদ্ধকরণ, মানবচক্ষু সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও সংযোজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, এ সব কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এ প্রতিষ্ঠান সমাজ সেবায় ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’সহ অনেক আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে। তিনি সন্ধানীর সকল নিবেদিতপ্রাণ কর্মীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। একইসাথে স্বেচ্ছায় রক্তদানে যেসব সংগঠন ভূমিকা রাখছে তাদেরকেও শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, সৃষ্টির সেবাই স্রষ্টার সেবা। মানুষ তার অমূল্য রক্ত ও মরণোত্তর চক্ষু দান করে মানবতার সেবায় বিপুল অবদান রাখতে পারে। কারণ রক্ত ও কর্ণিয়ার কোন বিকল্প নেই। রক্তের অভাব পূরণে মানবদেহের রক্ত এবং কর্ণিয়াজনিত অন্ধত্ব দূরীকরণে মানব কর্ণিয়াই একমাত্র অবলম্বন। মানবদেহে রক্ত কয়েকমাস পর-পর এমনিতেই নষ্ট হয়ে যায়, আবার নতুন রক্ত জন্মায়। মৃত্যুর পর চোখসহ সকল অঙ্গই নষ্ট হয়ে যায়।
তিনি বলন, ‘মানুষের প্রয়োজনে মানুষ সব সময় রক্তদানে এগিয়ে আসুক, মরণোত্তর চক্ষুদান করুক এবং মৃত্যুর পর উত্তরাধিকাররা কর্ণিয়া সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করুক-এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।’
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণ মহামারী আকার ধারণ করেছে উল্লেখ করে তিনি এ সময় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ অনুষ্ঠান পালনের আহ্বান জানান। তিনি জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস-২০২০’ এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।
– বাসস