Dhaka ০৭:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যে অভ্যাসে বাড়ে মাইগ্রেনের ব্যাথা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:২৫:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১৩৮ Time View

মাইগ্রেন হলো বিশেষ ধরনের মাথাব্যথা। মাথার যে কোনও এক পাশ থেকে শুরু হয়ে তা মারাত্মক কষ্টকর হয়ে ওঠে। তাই একে ‘আধ-কপালি’ ব্যথাও বলা হয়ে থাকে। মাইগ্রেনের যন্ত্রণা অত্যন্ত কষ্টদায়ক এবং দীর্ঘস্থায়ী।

যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে তারা তীব্র মাথা যন্ত্রণার পাশাপাশি বমি বমি ভাব, শরীরে এবং মুখে এক ধরনের অস্বস্তিতে ভোগে। মাইগ্রেনের ব্যথা টানা বেশ কয়েকদিন থাকে। তাই যাদের এই সমস্যা রয়েছে, তাদের এই ব্যথার জন্য দায়ী কিছু কাজ বা অভ্যাস এড়িয়ে চলাই ভাল। এতে মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব হতে পারে।

যে অভ্যাসে বাড়ে মাইগ্রেনের ব্যথা, এবার তা জেনে নেওয়া যাক…

পেট খালি রাখা:
পেট খালি থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথা বা সমস্যা শুরু হতে পারে। এর কারণ হচ্ছে, খালি পেটে থাকলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয় যা মাইগ্রেনের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

আবহাওয়া:
অতিরিক্ত রোদে ঘোরাঘুরির কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে। এ ছাড়া অতিরিক্ত গরম, অতিরিক্ত আর্দ্রতার তারতম্যেও মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হয়ে থাকে।

মানসিক চাপ:
যারা অনেক বেশি চাপ নিয়ে একটানা কাজ করে থাকেন এবং নিজের ঘুম ও খাওয়া-দাওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সময় মেনে চলতে পারেন না, তাদের বেশি মাইগ্রেনে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। তাই মানসিক চাপ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। খুব মানসিক চাপে থাকলে এক কাপ লেবু চা খেয়ে নিন। এতে মস্তিষ্ক কিছুটা রিলাক্স হবে।

অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার খাওয়া:
আমরা যখন অনেক বেশি মিষ্টি খাবার খেয়ে ফেলি তখন আমাদের রক্তের সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত ইনসুলিনের উৎপাদন হতে থাকে। যার ফলে রক্তের সুগারের মাত্রা নেমে যায়। এ ভাবে হঠাৎ হঠাৎ রক্তে সুগারের মাত্রার তারতম্য হওয়ার কারণেও মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে।

অতিরিক্ত আওয়াজ:
অতিরিক্ত আওয়াজ, খুব জোরে গান শোনা ইত্যাদির কারণেও মাইগ্রেনের সমস্যা শুরু হতে পারে। প্রচণ্ড জোরে আওয়াজের কারণে প্রায় দু’দিন টানা মাইগ্রেনের ব্যথা হওয়ার আশংকা থাকে।

অতিরিক্ত ঘুমানো:
মাত্র এক দিনের ঘুমের অনিয়মের কারণে শরীরের উপরে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। যেমন, যারা নিয়মিত মোটামুটি ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা করে ঘুমান, তারা যদি হুট করে একদিন একটু বেশি ঘুমিয়ে ফেলেন, সেক্ষেত্রে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হয়ে যায়।

হঠাৎ কফি খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া:
সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা নিয়মিত ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় খেতে অভ্যস্ত, তারা হঠাৎ করে সেই অভ্যাস ত্যাগ করলে বা বন্ধ করে দিলে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে। তাই এই অভ্যাস বন্ধ করতে চাইলে ধীরে ধীরে কফি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে করতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

যে অভ্যাসে বাড়ে মাইগ্রেনের ব্যাথা

Update Time : ০২:২৫:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

মাইগ্রেন হলো বিশেষ ধরনের মাথাব্যথা। মাথার যে কোনও এক পাশ থেকে শুরু হয়ে তা মারাত্মক কষ্টকর হয়ে ওঠে। তাই একে ‘আধ-কপালি’ ব্যথাও বলা হয়ে থাকে। মাইগ্রেনের যন্ত্রণা অত্যন্ত কষ্টদায়ক এবং দীর্ঘস্থায়ী।

যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে তারা তীব্র মাথা যন্ত্রণার পাশাপাশি বমি বমি ভাব, শরীরে এবং মুখে এক ধরনের অস্বস্তিতে ভোগে। মাইগ্রেনের ব্যথা টানা বেশ কয়েকদিন থাকে। তাই যাদের এই সমস্যা রয়েছে, তাদের এই ব্যথার জন্য দায়ী কিছু কাজ বা অভ্যাস এড়িয়ে চলাই ভাল। এতে মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব হতে পারে।

যে অভ্যাসে বাড়ে মাইগ্রেনের ব্যথা, এবার তা জেনে নেওয়া যাক…

পেট খালি রাখা:
পেট খালি থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথা বা সমস্যা শুরু হতে পারে। এর কারণ হচ্ছে, খালি পেটে থাকলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয় যা মাইগ্রেনের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

আবহাওয়া:
অতিরিক্ত রোদে ঘোরাঘুরির কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে। এ ছাড়া অতিরিক্ত গরম, অতিরিক্ত আর্দ্রতার তারতম্যেও মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হয়ে থাকে।

মানসিক চাপ:
যারা অনেক বেশি চাপ নিয়ে একটানা কাজ করে থাকেন এবং নিজের ঘুম ও খাওয়া-দাওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সময় মেনে চলতে পারেন না, তাদের বেশি মাইগ্রেনে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। তাই মানসিক চাপ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। খুব মানসিক চাপে থাকলে এক কাপ লেবু চা খেয়ে নিন। এতে মস্তিষ্ক কিছুটা রিলাক্স হবে।

অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার খাওয়া:
আমরা যখন অনেক বেশি মিষ্টি খাবার খেয়ে ফেলি তখন আমাদের রক্তের সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত ইনসুলিনের উৎপাদন হতে থাকে। যার ফলে রক্তের সুগারের মাত্রা নেমে যায়। এ ভাবে হঠাৎ হঠাৎ রক্তে সুগারের মাত্রার তারতম্য হওয়ার কারণেও মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে।

অতিরিক্ত আওয়াজ:
অতিরিক্ত আওয়াজ, খুব জোরে গান শোনা ইত্যাদির কারণেও মাইগ্রেনের সমস্যা শুরু হতে পারে। প্রচণ্ড জোরে আওয়াজের কারণে প্রায় দু’দিন টানা মাইগ্রেনের ব্যথা হওয়ার আশংকা থাকে।

অতিরিক্ত ঘুমানো:
মাত্র এক দিনের ঘুমের অনিয়মের কারণে শরীরের উপরে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। যেমন, যারা নিয়মিত মোটামুটি ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা করে ঘুমান, তারা যদি হুট করে একদিন একটু বেশি ঘুমিয়ে ফেলেন, সেক্ষেত্রে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হয়ে যায়।

হঠাৎ কফি খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া:
সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা নিয়মিত ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় খেতে অভ্যস্ত, তারা হঠাৎ করে সেই অভ্যাস ত্যাগ করলে বা বন্ধ করে দিলে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে। তাই এই অভ্যাস বন্ধ করতে চাইলে ধীরে ধীরে কফি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে করতে হবে।