Dhaka ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যেভাবে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি হচ্ছে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:১৮:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২০
  • 154

ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রামে টিকটকের কারণে এসব মাধ্যম ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করার অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ২৩ কোটি ব্যবহারকারী এসব মাধ্যমে নিয়মিত ঘুরে বেড়ান। এসব ব্যবহারকারীদের সংবেদনশীল ব্যক্তিহত তথ্য চুরি করে তা সাইবার অপরাধীদের নিষিদ্ধ জগৎ ডার্ক ওয়েবে পাচার করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরিকে বেশ বড় হিসেবে দেখা হয়। এতে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সুরক্ষার বিষয়টি এ সময়ে সবচেয়ে বড় বিতর্কের মুখে পড়েছে। খবর ইকোনমিক টাইমস ও র্ফোবাস ম্যাগাজিন’র। 

কম্পারিটেকের বরাত দিয়ে ইকোনমিক টাইমস ও র্ফোবাস ম্যাগাজিন তাদের প্রতিবেদনে জানায়, কয়েকদিন আগে কম্পারিটেক বিষয়টি ধরে ফেলে। চুরি হওয়া তথ্যের মধ্যে রয়েছে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, প্রোফাইলের পুরো নাম, প্রোফাইলের ছবি, অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত, ফলোয়ার সংখ্যা ও লাইক সংখ্যা। ডার্ক ওয়েব হলো সাইবার দুনিয়ার একটি গোপন জগৎ যা সাধারণ ব্যবহারকারীরা দেখতে পারেন না। এই সাইটটি সাইবার অপরাধীদের প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহিৃত হয়। প্লাটফর্মটির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার অভিযান চালায় রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট। তবে পৃথিবীর শক্তিধর রাষ্ট্র দুটি ব্যর্থ হয়। ডার্ক ওয়েবে সাধারণ গ্রাহকের সংবেদনশীল তথ্য চলে যাওয়াকে তাই বড় ঝুঁকি হিসেবেই বিবেচনা করা হয়।

ফোর্বস কম্পারিটেক’র গবেষকদের বরাতে জানায়, তথ্য চোরেরা এবার আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। তারা ব্যবহারকারীর সব প্রোফাইলে দেওয়া ফোন নম্বর অথবা ই-মেইল ঠিকানাও হাতিয়ে নিয়েছে। সাধারণত ব্যবহারকারীর প্রোফাইলে ফোন নম্বর বা ই-মেইল ঠিকানা শুধু নিজের দেখার জন্য ‘অনলি মি’ অপশন দেওয়া থাকলে সেগুলো বন্ধু তালিকারও কেউ দেখতে পায় না, এগুলো কপিও করা যায় না। কিন্তু এবার এ ধরনের সংবেদনশীল তথ্যও গণহারে কপি করে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে সাইবার অপরাধীরা।

ইকোনমিক টাইমস জানায়, কম্পারিটেকের গবেষকরা প্রথমে ডার্ক ওয়েবে ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রামের ব্যবহারকারীদের ডাটার সন্ধান পান। এরপর আরও সুনির্দিষ্ট প্রযুক্তিগত গবেষণা চালিয়ে দেখা যায়, যে ডাটাগুলো আছে তা ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম এবং টিকটক ব্যবহারকারীর। প্রায় সাড়ে ২৩ কোটি গ্রাহকের ডাটার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এর মধ্যে টিকটক গ্রাহকদের ডাটাই প্রায় ৪৫ শতাংশ। বাকি ৫৫ শতাংশ ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রামের।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

যেভাবে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি হচ্ছে

Update Time : ০২:১৮:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২০

ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রামে টিকটকের কারণে এসব মাধ্যম ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করার অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ২৩ কোটি ব্যবহারকারী এসব মাধ্যমে নিয়মিত ঘুরে বেড়ান। এসব ব্যবহারকারীদের সংবেদনশীল ব্যক্তিহত তথ্য চুরি করে তা সাইবার অপরাধীদের নিষিদ্ধ জগৎ ডার্ক ওয়েবে পাচার করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরিকে বেশ বড় হিসেবে দেখা হয়। এতে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সুরক্ষার বিষয়টি এ সময়ে সবচেয়ে বড় বিতর্কের মুখে পড়েছে। খবর ইকোনমিক টাইমস ও র্ফোবাস ম্যাগাজিন’র। 

কম্পারিটেকের বরাত দিয়ে ইকোনমিক টাইমস ও র্ফোবাস ম্যাগাজিন তাদের প্রতিবেদনে জানায়, কয়েকদিন আগে কম্পারিটেক বিষয়টি ধরে ফেলে। চুরি হওয়া তথ্যের মধ্যে রয়েছে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, প্রোফাইলের পুরো নাম, প্রোফাইলের ছবি, অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত, ফলোয়ার সংখ্যা ও লাইক সংখ্যা। ডার্ক ওয়েব হলো সাইবার দুনিয়ার একটি গোপন জগৎ যা সাধারণ ব্যবহারকারীরা দেখতে পারেন না। এই সাইটটি সাইবার অপরাধীদের প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহিৃত হয়। প্লাটফর্মটির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার অভিযান চালায় রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট। তবে পৃথিবীর শক্তিধর রাষ্ট্র দুটি ব্যর্থ হয়। ডার্ক ওয়েবে সাধারণ গ্রাহকের সংবেদনশীল তথ্য চলে যাওয়াকে তাই বড় ঝুঁকি হিসেবেই বিবেচনা করা হয়।

ফোর্বস কম্পারিটেক’র গবেষকদের বরাতে জানায়, তথ্য চোরেরা এবার আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। তারা ব্যবহারকারীর সব প্রোফাইলে দেওয়া ফোন নম্বর অথবা ই-মেইল ঠিকানাও হাতিয়ে নিয়েছে। সাধারণত ব্যবহারকারীর প্রোফাইলে ফোন নম্বর বা ই-মেইল ঠিকানা শুধু নিজের দেখার জন্য ‘অনলি মি’ অপশন দেওয়া থাকলে সেগুলো বন্ধু তালিকারও কেউ দেখতে পায় না, এগুলো কপিও করা যায় না। কিন্তু এবার এ ধরনের সংবেদনশীল তথ্যও গণহারে কপি করে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে সাইবার অপরাধীরা।

ইকোনমিক টাইমস জানায়, কম্পারিটেকের গবেষকরা প্রথমে ডার্ক ওয়েবে ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রামের ব্যবহারকারীদের ডাটার সন্ধান পান। এরপর আরও সুনির্দিষ্ট প্রযুক্তিগত গবেষণা চালিয়ে দেখা যায়, যে ডাটাগুলো আছে তা ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম এবং টিকটক ব্যবহারকারীর। প্রায় সাড়ে ২৩ কোটি গ্রাহকের ডাটার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এর মধ্যে টিকটক গ্রাহকদের ডাটাই প্রায় ৪৫ শতাংশ। বাকি ৫৫ শতাংশ ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রামের।