যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন জো বাইডেন।
স্থানীয় সময় বুধবার বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত ১০টা) ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবনে দেশটির প্রধান বিচারপতি জন রর্বাটস শপথবাক্য পাঠ করান যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্টকে। আগামী চার বছর ওভাল অফিসের নিয়ন্ত্রণ থাকছে তারই হাতে।
শপথ নেওয়ার পর বাইডেন তার দেওয়া ভাষণে বলেছেন, “এই দিনটি গণতন্ত্রের। এই দিনটি আমেরিকার। এই দিনটি ইতিহাস ও আশার দিন।”
তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে আমেরিকাকে পরীক্ষা দিতে হয়েছে, তার দেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। আজকে আমরা গণতন্ত্রের বিজয় উদযাপন করছি। তিনি বলেন, যেখানে দাঁড়িয়ে তিনি ভাষণ দিচ্ছেন সেখানে কয়েকদিন আগে সহিংসতা ঘটে গেছে যা ক্যাপিটল হিলের ভিত্তি নাড়িয়ে দিয়েছে। এখন তিনি সবাইকে একত্রিত হওয়ার আহবান জানাচ্ছেন।
নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাইডেনের স্ত্রী জিল বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্টর স্বামী ডগলাস এমহফ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তার স্ত্রী মিশেল ওবামা, বিল ক্লিনটন ও তার স্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, জর্জ ডব্লিউ বুশ ও তার স্ত্রী লরা বুশ, ডেমোক্র্যাট নেতৃবৃন্দ, পদস্থ কর্মকর্তা, হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।
এর আগে সকালে মেলানিয়াকে নিয়ে হোয়াইট হাউস ছেড়ে যান বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আগেই জানিয়ে দিয়েছেন বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি অংশগ্রহণ করবেন না। তবে অনুষ্ঠানে বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন।
বাইডেনের জন্য মার্কিন রাজনীতির চূড়ায় পৌঁছানোর এই পথ মোটেও সহজ ছিল না। তিনবারের চেষ্টায় এই সাফল্য ধরা দিয়েছে তার হাতে। ১৯৮৭ এবং ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বাইডেন। দু’বারই ব্যর্থ হন। কিন্তু ২০২০ সালে আর নিরাশা নয়, ধরা দিয়েছে বহুল প্রত্যাশিত সেই সফলতা। বিপুল ভোটে জিতে ট্রাম্পের হাত থেকে কেড়ে নিয়েছেন হোয়াইট হাউসের নিয়ন্ত্রণ।
এর আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন কমালা হ্যারিস। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সোনিয়া সোটোমেয়র তাকে শপথ-বাক্য পাঠ করিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট। এটি এক ঐতিহাসিক ঘটনা। কারণ তিনি একজন কৃষ্ণাঙ্গ এবং এশীয় বংশোদ্ভূত।
তার আগে আরো ৪৮ জন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তাদের সবাই পুরুষ।
নির্বাচনে বিজয়ের পর কমালা হ্যারিস বলেছিলেন, ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি হয়তো প্রথম নারী, তবে আমি শেষ নারী নই। যেসব ছোট্ট নারী শিশু এই অনুষ্ঠান দেখছে তারা দেখছে যে আমেরিকা হচ্ছে সম্ভাবনার এক দেশ।’