নিজস্ব প্রতিবেদক:

যারা সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়ায় তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে সরকারকে কঠোর হবার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ।

জাতীয় রফতানী ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, অতিমুনাফার লোভে জনস্বার্থ বিঘ্নিত হলে সরকার ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। রাতারাতি ধনী হওয়ার মানসিকতা ত্যাগ করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বানও জানান রাষ্ট্রপতি।

রফতানী খাতকে উৎসাহিত করতে জাতীয় রফতানি ট্রফি প্রদানের এই আয়োজন করা হয় রাজধানীর একটি হোটেলে। বঙ্গভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। এসময় তিনি বলেন, ২০২৪ সাল নাগাদ ৮০ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এজন্য পণ্যবহুমুখী করতে হবে। দেশীয় কাঁচামালে উচ্চমূল্যের পণ্য তৈরি করে তা রফতানি করতে হবে।

মধ্যপ্রাচ্য ও উন্নত দেশগুলোর সাথে তুলনা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সেসব দেশে উৎসব ও রমজানে পণ্যের দাম কমিয়ে সহজলভ্য করা হয়। কিন্তু দেশে অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়ায়। তাদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর হবার আহ্বান জানান তিনি।

যৌক্তিক মুনাফা করে ব্যবসা করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। সর্বোচ্চ রফতানি আয়ের জন্য জাবের এন্ড জুবায়ের কোম্পানি পেয়েছে এবছরের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রফতানি ট্রফি’। সাথে আরো ২৭টি প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি পেলো বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাস চলছে। সামনে আসছে ঈদুল ফিতর। আমাদের দেশে রোজা, ঈদসহ বিভিন্ন উৎসব এলেই দেখা যায়, কিছু কিছু পণ্যের দাম হঠাৎ বেড়ে যায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতীয়, ধর্মীয় উৎসবে জিনিসপত্রের দাম কমানো হয়। রমজান উপলক্ষে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে পণ্যের দাম কমানো হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে বিপরীতচিত্র দেখা যায়। ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা উৎসবকে পুঁজি করে জনগণের পকেট কাটার জন্য ওঁৎ পেতে থাকেন।’

তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেট আজকাল সবচেয়ে আলোচিত শব্দ। যে কোনো খাতে পণ্যের দাম বাড়লে বা কমলে সিন্ডিকেটকে দায়ী করা হয়। যারা সিন্ডিকেট করে জনভোগান্তি বাড়ায়, তাদের আইনের আওতায় আনতে সরকারকে অবশ্যই কঠোর হতে হবে।’

বাজার অর্থনীতিতে দ্রব্যমূল্য নির্ধারিত হয় চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিবেচনা করে জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের এখানে চাহিদা ও সরবরাহের সমন্বয়হীনতা নয়, কারসাজির মাধ্যমে পণ্যের দাম বাড়ানো হয়। এটা কোনোভাবে কাম্য নয়।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অসাধু চক্র যাতে কোনোভাবে কারসাজির মাধ্যমে জনভোগান্তি বাড়াতে না পারে, সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। সরকারকে আগাম পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে বাজারে কারসাজি কমবে। এক্ষেত্রে আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী সবার সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে