রাজধানীমুখী মানুষের স্রোতে মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র চাপ। সিরাজগঞ্জ মহাসড়কের যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে সায়দাবাদ পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার জুড়ে যানজট ও ধীরগতির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো যাত্রী।
শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল থেকেই রাজধানীমুখী বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও পণ্যবাহী গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। বিশেষ করে যমুনা সেতু পশ্চিম প্রান্ত থেকে শুরু হওয়া এই যানজট ধীরে ধীরে সায়দাবাদ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। কোথাও কোথাও ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত আটকে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের।
স্বাভাবিক সময়ে সিরাজগঞ্জের এই মহাসড়কে উত্তরবঙ্গের প্রায় ১৮ হাজার যানবাহন চলাচল করলেও ঈদের আগে এবং পরে এই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ দুই থেকে তিন গুণ বৃদ্ধি পায়। ঠিক তেমনভাবে এবারের ঈদুল আজহার পরেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের চাপ বাড়ছে।
মূলত যমুনা টোল প্লাজায় যানবাহনের এই বাড়তি চাপের জন্য টোল আদায়ে কিছুটা ধীরগতি দেখা দিয়েছে। ফলে পশ্চিম পাড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি থেকে যানজট ও ভোগান্তি দেখা যাচ্ছে। সার্ভিস লেনেও চলে এসেছে মহাসড়কের গাড়ি। এমনকি এক লেনের যানবাহন অন্য লেন দিয়ে চলছে।
প্রচন্ড গরমে যাত্রাপথ হয়ে উঠেছে আরও কষ্টকর। গার্মেন্টসকর্মী রোদেলা খাতুন, শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, শিক্ষার্থী রবিউল হকসহ অনেকে বলেন, এমন কোনো ঈদ পেলাম না যেখানে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পেরেছি কিংবা ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে পেরেছি। তীব্র গরমে খুবই খারাপ অবস্থা। এই অবস্থা থেকে মুক্তি প্রয়োজন।
যমুনা সেতু পশ্চিম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ টোল নিতে দেরি করছে। এইজন্যই পশ্চিম পাড়ে এমন যানজট দেখা গিয়েছে।
যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু দিয়ে ৩৮ হাজার ৫৩৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে ২ কোটি ৭৯ লাখ ৬৯ হাজার ২০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড়ের টোল প্লাজায় যানবাহনের চাপ তুলনামূলক অনেক বেশি।
তিনি আরও বলেন, ঈদের ছুটির শেষে যানবাহনের চাপ অনেক বেশি বেড়েছে। যমুনা সেতুতে কিছু যানবাহন মাঝে মাঝে বিকল হয়ে যায়, এই সমস্যার কারণেও যানজট লেগে থাকে। আমরা ৯টি বুথে টোল আদায় করছি।