ধরে নেয়া যাক, ৫ম স্থানে থাকা দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে কেবল ৩ ম্যাচই খেলার সুযোগ পাচ্ছেন মুস্তাফিজুর রহমান। সেক্ষেত্রে কি চুক্তির পুরো ৬ কোটি রুপিই পাচ্ছেন বাংলাদেশের এই পেসার? আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, মুস্তাফিজুর রহমানের বেতনের নিয়ম ঠিক কেমন?
গতকাল অনেকটা আকস্মিকভাবে ২০২৫ আইপিএলে দল পাওয়ার পর থেকে মুস্তাফিজকে নিয়ে এমন প্রশ্নই ঘুরে ফিরে আসছে বারবার। ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পর নতুন করে আইপিএল শুরুর আগে মুস্তাফিজকে দলে টেনে একপ্রকার চমকই দিয়েছে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজ দিল্লি ক্যাপিটালস। দুই বছর পর আবার নিজের পুরাতন ডেরায় ডাক পাচ্ছেন বাংলাদেশের এই পেসার।
অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার ফ্রেজার ম্যাকগার্কের বিপরীতে ফিজ ডাক পেয়েছেন মৌসুমের একেবারে শেষে এসে। এই মুহূর্তে আইপিএলের লিগ পর্বে দিল্লি ক্যাপিটালসের বাকি আছে আর মোটে ৩ ম্যাচ। আর প্লে-অফে যেতে পারলে সেই ম্যাচের সংখ্যা বাড়বে। এমন অবস্থায় চুক্তির ৬ কোটি রুপি কি পুরোপুরি পাচ্ছে ফিজ? আইপিএলের নিয়ম কী বলে?
উত্তর খুঁজতে গিয়ে কিছুটা হতাশই হতে পারেন ফিজ ভক্তরা। চুক্তি ৬ কোটি রুপির জন্য হলেও ফিজকে পুরো অর্থ দেবে না দিল্লি ক্যাপিটালস। আইপিএলের বেতনাদি সংক্রান্ত নিয়ম থেকে জানা যায়, কেবল যে কিছু ম্যাচ বাকি আছে দিল্লি সামনে, সেটারই আনুপাতিক হারে বেতন পাচ্ছেন মুস্তাফিজ।
আইপিএল নীতিমালার ধারা ৬.৬ অনুসারে, কোনো বদলি খেলোয়াড়ের ফি মূল খেলোয়াড়ের চুক্তির চেয়ে বেশি হতে পারে না। এবং যতগুলো ম্যাচ তার যোগদানের আগে হয়ে গেছে, সে অনুপাতে তার ফি কেটে রাখা হবে। উল্লেখ্য, পুরো অর্থ না পেলেও আইপিএলে বাংলাদেশের সাপেক্ষে বেশ একটা রেকর্ডের জন্ম দিয়েই ফেলেছেন মুস্তাফিজ। ফ্র্যাঞ্চাইজ এই বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত ক্রিকেটার এখন টাইগার এই পেসার।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য মুস্তাফিজ আইপিএল খেলতে যাচ্ছেন কি না, সেটাও এখন বড় প্রশ্ন। গতকাল রাত পর্যন্ত টাইগার এই পেসার টুর্নামেন্টটিতে খেলার ছাড়পত্র বা এনওসির জন্য আবেদন করেননি বলেই জানা গেছে।
গতকাল সন্ধ্যায় বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফিস বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো কিছু জানা নেই। মুস্তাফিজ এনওসির জন্য আবেদন করেননি। যেহেতু দিল্লি তাদের পেজে জানিয়েছে, হয়তো খেলোয়াড়ের (মুস্তাফিজ) সাথে আগেই হয়তো কথা বলে রেখেছে। ছাড়পত্রের আবেদন পেলে সেটি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’