ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টেলিফোন করে জম্মু ও কাশ্মিরের রাজ্যের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, ভারত সফরের জন্য মোদি তাকে যে নিমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছিলেন— তা তিনি গ্রহণ করেছেন এবং শিগগরই নয়াদিল্লি আসছেন তিনি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে এসব তথ্য।
সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “প্রেসিডেন্ট পুতিন আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে পেহেলগামের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। তিনি বলেছেন, ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে রাশিয়া পূর্ণ সমর্থন দেবে।”
“ফোনকলে উভয় নেতা ভারত ও রাশিয়ার বিশেষ এবং পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষাকারী কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীরে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার ৮০তম বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে শুভেচ্ছা এবং তাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।”
পৃথক এক বিবৃতিতে একই তথ্য জানিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে ভারত সফরের নিমন্ত্রণ করেছেন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আন্তরিকভাবে সেই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।”
স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলাকারীরা অন্তত ২৬ পর্যটককে গুলি করে হত্যা করে, আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। নিহতরা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মিরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা।
ভয়াবহ এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত এবং তাৎক্ষণিকভাবে দেশটির সিন্ধু নদের পানিবন্টন চুক্তি স্থগিতসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। পাল্টা জবাব হিসেবে ভারতের জন্য নিজেদের স্থল ও আকাশসীমা বন্ধসহ একাধিক পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তানও।
এ হামলাকে ঘরে গত এক সপ্তাহ ধরে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দুই চিরবৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সম্প্রতি দুই দেশের উত্তেজনা প্রশমনে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন।
সূত্র : এনডিটিভি অনলাইন, আরটি