মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করা আরও ৯২টি রিকন্ডিশন গাড়ি নিলামে তোলা হচ্ছে। এ নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ১১৫টি দরপত্র বিক্রি হয়েছে।

খুলনার খালিশপুরস্থ কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ে মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) এ দরপত্র জমা পড়বে এবং বুধবার (২৮ অক্টোবর) মোংলাস্থ ডেপুটি কমিশনার (নিলাম) কার্যালয়ে নিলাম অংশগ্রহকারী ঠিকাদারের সামনেই এ দরপত্র খোলা হবে। মোংলা কাস্টম হাউজের শুল্ক ও রাজস্ব বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বন্দরে পড়ে থাকা নোহা, এ্যাকুয়া, ফিল্ডার, করোলা এক্সিও, এলিয়ন, নিশান পিক আপ, প্রিমিও, টয়োটা ফিল্ডারসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের এসব গাড়ি নিলামে তুলতে এই দরপত্র জমা পড়ছে।

এর আগে করোনা সংক্রমণের জটিলতায় দীর্ঘ সাত মাস এ নিলাম প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। গত মার্চ মাসে সবশেষ নিলামে উঠেছিল ৫০টি রিকন্ডিশন গাড়ি।

মোংলা কাস্টম হাউজের কমিশনার মো. হোসেন আহম্মেদ এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, বন্দরের জায়গা খালি ও দীর্ঘদিনের শুল্ক জটিলতা দূর করে রাজস্ব আদায় করতে মোংলা কাস্টম হাউজ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কাস্টমস কমিশনার বলেন, আমদানির পর খালাসের একটি নির্ধারিত সময় থাকে। আমদানিকারকরা বিভিন্ন অজুহাতে এসব গাড়ি খালাস করেননি। কাস্টমস আইন অনুযায়ী এসব গাড়ি নিলামে তোলা হবে।

মোংলা কাস্টম হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মহিদ রিয়াদ জানান, প্রায় দুই’শ গাড়ির বিষয়ে আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে। আমরা দ্রুত আইনি জটিলতা শেষ করার চেষ্টা করছি। জটিলতা শেষ হলে এসব গাড়িও নিলামে তোলা হবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক বিভাগ জানায়, রাজধানীর সংঙ্গে দূরত্ব কমাতে ২০০৯ সাল থেকে দেশে আমদানি করা গাড়ি খালাস হয় মোংলা বন্দর দিয়ে। গত ৯ বছরে এই বন্দর দিয়ে মোট গাড়ি আমদানি হয়েছে এক লাখ ২৩ হাজার ৮১৯টি। বর্তমানে বন্দরের বিভিন্ন শেড ও ইয়ার্ডে দুই হাজার ৬০০ গাড়ির মত নিলামযোগ্য অবস্থায় পড়ে আছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে