একদিন আগেই এমবাপ্পের কাছেই ধরাশায়ী হয়েছে মেসির বার্সেলোনা। বাকি থাকলেন না প্রতিদ্বন্দ্বী রোনালদোও।
শীর্ষ ষোলোর প্রথম লেগের লড়াইয়ে হারতে হলো জুভেন্টাসকেও। গত রাতের ম্যাচে পোর্তোর কাছে ২-১ গোলে হেরেছে ইতালিয়ান জায়ান্টরা।
এদিকে, জুভেন্টাস হারলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসেছে সমতা। কারণ, আগের রাতেই মেসির বার্সেলোনা ধরাশায়ী হয়েছে পিএসজির কাছে। আর তার পরের রাতেই রোনালদোর দলকে হতাশায় ডোবালো পোর্তো।
আবার, একদিকে দেশীয় ক্লাব পোর্তো। ওপরদিকে ঘরের ছেলে রোনালদো। কাকে রেখে কাকে সমর্থন দেবেন! পর্তুগালের ফুটবল ভক্তরা এমনই দোটানায় ছিলেন এ রাতে। তবে ক্লাবের জার্সিতে প্রতিপক্ষ হলেও, জাতীয় দলের সতীর্থদের আলিঙ্গনে ভুল হয়নি একেবারেই। যদিও রেফারির বাঁশি বাজার সঙ্গেসঙ্গেই শুরু হয় বল নিয়ে কাড়াকাড়ি।
যার ফল মেলে মিনিট পার না হতেই। খেলার মাত্র ৬৩ সেকেন্ডের মধ্যেই গোল খেয়ে বসে জুভেন্টাস। ইরানি স্ট্রাইকার মেহদী তারেমির গোলে এগিয়ে যায় পোর্তো। জুভদের রক্ষণ কিছুটা অগোছালোই ছিল এসময়। এমনকি প্রথমার্ধজুড়ে জালের ঠিকানা খুঁজে পেলো না আক্রমণভাগও।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেও ড্রেসিংরুম থেকে যেন আড়ষ্টতা নিয়েই মাঠে ফিরলো তুরিনের বুড়িরা। এবার গোল খেলো আরও দ্রুত। মাঠে নামার মাত্র ১৯ সেকেন্ডের মাথায়। মালিয়ান ফরোয়ার্ড মুসা মারেগার ক্ষিপ্রতায়।
অতঃপর যেন টনক নড়ে জুভিদের, চাপ বাড়ে ড্রাগনদের ডি-বক্সে, রক্ষণ দেয়ালে ফাটল ধরার উপক্রম। অবশেষে ৮২ মিনিটে ফাটল ধরাতে সক্ষম হয় পিরলোর শিষ্যরা। একটা গোল শোধ করেন ফেডেরিকো কিয়েসা। ৮২তম মিনিটের মাথায় ইতালিয়ান ফরোয়ার্ডের দেয়া এই অ্যাওয়ে গোলটাই হয়তো দ্বিতীয় লেগে নিজ মাঠে হতে পারে আশীর্বাদ।
পরে রেফারির ঈর্ষায় জমেনি শেষের নাটক। পেনাল্টির আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় যারপরনায় আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে রোনালদোদের।