Dhaka ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেসির গোলের পরও বিধ্বস্ত ইন্টার মায়ামি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:২৬:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • ১৫ Time View

কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে হারের ক্ষত মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) টেবিল টপার হয়ে ঘোচাতে পারত ইন্টার মায়ামি। কিন্তু আমেরিকান ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ এই প্রতিযোগিতায় আরও অবনতির পথে লিওনেল মেসি ও হাভিয়ের মাশ্চেরানোর দল। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের গোল সত্ত্বেও ফ্লোরিডার ক্লাবটি মিনেসোটা ইউনাইটেডের বিপক্ষে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছে।

প্রতিপক্ষের দুর্গ অ্যালিয়াঞ্জ ফিল্ডে ম্যাচটিতে বেশ দাপটই ছিল ইন্টার মায়ামির। বল দখলে দুই দলের ব্যবধান ছিল ব্যাপক। লুইস সুয়ারেজহীন মায়ামি ৭৪ শতাংশ বল দখলে রেখেও ফিনিশিংয়ে ভুগেছে। দুই অর্ধেই দুটি গোল হজম করেছে সফরকারীরা। মেসির এক গোল কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। স্বাগতিক মিনেসোটা মায়ামিকে হারিয়েছে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে।

ব্যক্তিগত কারণে ম্যাচটিতে ছিলেন সাবেক উরুগুইয়ান তারকা সুয়ারেজ। আক্রমণভাগেও তার অভাব টের পেয়েছে মায়ামি, বেশিরভাগ সময় নিজেদের পায়ে বল রাখলেও খেলা ছিল ছন্দহীন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে (৪৮) মেসি গোল করে ব্যবধান কমানোর আগেই দুটি হজম করে বসে মায়ামি। মিনেসোটার হয়ে ৩২ মিনিটে প্রথম লিড এনে দেন বঙ্গকুহলে লঙওয়ানে। প্রথমার্ধে যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে সেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অ্যান্থনি মার্কানিচ।

বিরতির পর ব্যবধান ২-১ এ নামিয়ে আনলেও আরও পিছিয়ে পড়তে বেশি সময় নেয়নি মায়ামি। মিনেসোটার আক্রমণের মুখে ৬৮ মিনিটে নিজেদের জালেই বল জড়িয়েছেন মার্সেলো উইগান্ডট। আর সেখানেই কামব্যাক করার মতো মানসিকতায় ধাক্কা খান মেসি-আলবাদের মায়ামি। মিনিট দুয়েক বাদেই তাদের হারের কফিনে চূড়ান্ত পেরেক ঠোকেন রবিন লোড। তার আঘাতে মিনেসোটার বড় জয় এবং মায়ামির উঠে দাঁড়ানোর শক্তি শেষ করে দেয়।

কোচ মাশ্চেরানো বিরতির পর মায়ামির চারটি বদল আনেন। কিন্তু তাতে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেননি। এটি মায়ামির জন্য বেশ উদ্বেগজনক ফল। সাম্প্রতিক সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মাশ্চেরানোর দলটি পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই হেরেছে। এ ছাড়া ২০২৩ সালে মেসির আগমনের পর সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের লজ্জাও পেলো লা গারজাসরা।

এই হারে এমএলএসে ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট টেবিলের চারে নেমে গেল মায়ামি। ১১ ম্যাচে ৬ জয়ে তাদের পয়েন্ট ২১। একটি করে ম্যাচ বেশি খেলে শীর্ষ তিনে রয়েছে যথাক্রমে এফসি সিনসিনাতি (২৫), কলম্বাস ক্রু (২৫) ও ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন (২৩)।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

মেসির গোলের পরও বিধ্বস্ত ইন্টার মায়ামি

Update Time : ০৪:২৬:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে হারের ক্ষত মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) টেবিল টপার হয়ে ঘোচাতে পারত ইন্টার মায়ামি। কিন্তু আমেরিকান ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ এই প্রতিযোগিতায় আরও অবনতির পথে লিওনেল মেসি ও হাভিয়ের মাশ্চেরানোর দল। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের গোল সত্ত্বেও ফ্লোরিডার ক্লাবটি মিনেসোটা ইউনাইটেডের বিপক্ষে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছে।

প্রতিপক্ষের দুর্গ অ্যালিয়াঞ্জ ফিল্ডে ম্যাচটিতে বেশ দাপটই ছিল ইন্টার মায়ামির। বল দখলে দুই দলের ব্যবধান ছিল ব্যাপক। লুইস সুয়ারেজহীন মায়ামি ৭৪ শতাংশ বল দখলে রেখেও ফিনিশিংয়ে ভুগেছে। দুই অর্ধেই দুটি গোল হজম করেছে সফরকারীরা। মেসির এক গোল কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। স্বাগতিক মিনেসোটা মায়ামিকে হারিয়েছে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে।

ব্যক্তিগত কারণে ম্যাচটিতে ছিলেন সাবেক উরুগুইয়ান তারকা সুয়ারেজ। আক্রমণভাগেও তার অভাব টের পেয়েছে মায়ামি, বেশিরভাগ সময় নিজেদের পায়ে বল রাখলেও খেলা ছিল ছন্দহীন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে (৪৮) মেসি গোল করে ব্যবধান কমানোর আগেই দুটি হজম করে বসে মায়ামি। মিনেসোটার হয়ে ৩২ মিনিটে প্রথম লিড এনে দেন বঙ্গকুহলে লঙওয়ানে। প্রথমার্ধে যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে সেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অ্যান্থনি মার্কানিচ।

বিরতির পর ব্যবধান ২-১ এ নামিয়ে আনলেও আরও পিছিয়ে পড়তে বেশি সময় নেয়নি মায়ামি। মিনেসোটার আক্রমণের মুখে ৬৮ মিনিটে নিজেদের জালেই বল জড়িয়েছেন মার্সেলো উইগান্ডট। আর সেখানেই কামব্যাক করার মতো মানসিকতায় ধাক্কা খান মেসি-আলবাদের মায়ামি। মিনিট দুয়েক বাদেই তাদের হারের কফিনে চূড়ান্ত পেরেক ঠোকেন রবিন লোড। তার আঘাতে মিনেসোটার বড় জয় এবং মায়ামির উঠে দাঁড়ানোর শক্তি শেষ করে দেয়।

কোচ মাশ্চেরানো বিরতির পর মায়ামির চারটি বদল আনেন। কিন্তু তাতে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেননি। এটি মায়ামির জন্য বেশ উদ্বেগজনক ফল। সাম্প্রতিক সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মাশ্চেরানোর দলটি পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই হেরেছে। এ ছাড়া ২০২৩ সালে মেসির আগমনের পর সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের লজ্জাও পেলো লা গারজাসরা।

এই হারে এমএলএসে ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট টেবিলের চারে নেমে গেল মায়ামি। ১১ ম্যাচে ৬ জয়ে তাদের পয়েন্ট ২১। একটি করে ম্যাচ বেশি খেলে শীর্ষ তিনে রয়েছে যথাক্রমে এফসি সিনসিনাতি (২৫), কলম্বাস ক্রু (২৫) ও ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন (২৩)।