মৃত্যুর পর ম্যারাডোনাকে নিয়ে অনেক গুজবই উঠেছে। বিশেষ করে মৃত্যু রহস্য খুঁজেছেন অনেকে। কেউ কেউ সন্দেহ করেছেন তার শরীরে অ্যালকোহল বা অবৈধ মাদক প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে সেই সন্দেহ মিথ্যে প্রমাণ হলো।

টক্সিকোলোজি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, মৃত্যুর আগে ম্যারাডোনার শরীরে কোনো ধরনের অ্যালকোহল বা অবৈধ মাদক প্রয়োগ করা হয়নি। 

টক্সিকোলোজি রিপোর্টে আরও বলা হয়, তার শরীরে এমন ধরনের ওষুধ পাওয়া গেছে, যা তার শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত হয়েছে।

এই তদন্তের মূল কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল সান ইসিদরো তার তদন্তে দেখেছেন, ম্যারাডোনার পুরো চিকিৎসাকালে কোনো অপব্যবহার হয়েছে কি না। তিনি দেখেছেন- ম্যারাডোনাকে প্রয়োগ করা ওষুধ হতাশা এবং খিঁচুনি ধরণের সমস্যার সমাধানের কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। এ ছাড়া পেটের সমস্যার কারণেও এগুলো দেওয়া হয়েছিল।

এই রিপোর্টগুলোই প্রমাণ করে ম্যারাডোনা কিডনি, লাং ও লিভারের জটিল সমস্যায় ভুগছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর, ৬০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তি ফুটবলার। এর আগে নভেম্বরের শুরুতে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করে জমাট বাধা রক্ত অপসারণ করা হয় ম্যারাডোনার। ১১ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। এর দুই সপ্তাহের মাথায় না ফেরার দেশে চলে যান ফুটবলের এই কিংবদন্তি।
সূত্র : মার্কা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে