স্পোর্টস ডেস্ক:
চলমান আইপিএলে মুখোমুখি হয় পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান করা সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ও রাজস্থান রয়্যালস। নিজেদের র্সবশেষ ম্যাচেও হেরেছিল উভয় দল। ঘুরে দাঁড়াতে তাই এ ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল দুই দলের জন্যই। যে ম্যাচে জস বাটলরের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে জয় পেয়েছে রাজস্থানই।
রোববার বিকেলের ম্যাচে হায়দ্রাবাদকে ৫৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দুই ধাপ এগিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে সাঞ্জু স্যামসনের দল। অন্যদিকে এই হারে প্লে অফের দৌড় থেকে অনেকটাই পিছিয়ে গেলো সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।
তবে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি টস হেরে ব্যাট করতে নামা রাজস্থান রয়্যালসের। ম্যাচের তৃতীয় ওভারেই ওপেনার যশস্বী জ্যাসওয়ালকে হারায় রাজস্থান। মাত্র ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারালেও পরে আর তা নিয়ে ভাবতে হয়নি রাজস্থানকে।
দ্বিতীয় উইকেটে সানরাইজার্স বোলারদের উপর চড়াও হয়ে ৮২ বলে ১৫০ রানের জুটি গড়েন জস বাটলার ও সাঞ্জু স্যামসন। ৩৩ বলে ৪৮ রান করে সাঞ্জু ফিরে গেলেও থামেননি রাজস্থানের রানের চাকা বাটলার। রাইয়ান পরাগকে সাথে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে মাত্র ১৪ বলে ৪২ রান যোগ করেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান।
১৭তম ওভারের শেষ বলেই প্রথম ইংরেজ ক্রিকেটার হিসাবে আইপিএলে সেঞ্চুরি করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এক ওভার পর ১২৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ফিরে যান বাটলার। তার ৬৪ বলের এই ইনিংসে ছিল ১১টি চারের সাথে আটটি ছয়ের মার।
যাতে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২০ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে রাজস্থান। পরাগ ৮ বলে ১৫ রান করে ও মিলার ৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। হায়দ্রাবাদের বোলারদের পক্ষে একটি করে উইকেট শিকার করেন রশিদ খান, বিজয় শঙ্কর ও সন্দীপ শর্মা।
যদিও বড় রান তাড়া করতে নেমে যে রকম শুরুর প্রয়োজন ছিলো হায়দ্রাবাদকে সেটিই এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার মনীষ পাণ্ডে ও জনি বেয়ারস্টো। কিন্তু উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পরই পথ হারায় হায়দ্রাবাদ। মনীষ পাণ্ডে ৩১ রান করে মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম শিকার হয়ে ফিরে গেলে ভাঙে ৫৭ রানের জুটি।
এরপর বিজয় শঙ্কর ও জনি বেয়ারস্টো দ্রুত ফিরে গেলে ৮৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে হায়দ্রাবাদ। মোহাম্মদ নবী ও কেন উইলিয়ামসন ভালো শুরু করেও ইনিংস বড় করতে না পারলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় হায়দ্রাবাদ।
শেষ দিকে কেদার যাদব ও আব্দুল সামাদের ছোট দুটি ইনিংসে পরাজয়ের ব্যবধান কমে মাত্র। রাজস্থান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে এদিন ৩টি উইকেট শিকার করেন টাইগার এই পেসার। এছাড়া প্রোটিয়া পেসার ক্রিস মরিসও নেন ৩টি উইকেট, ২৯ রানের বিনিময়ে। যাতে ৫৫ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রাজস্থান। তবে ম্যাচ সেরা হন বাটলারই।