মুন্সিগঞ্জ সংবাদদাতা:
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে পদ্মার তীরে দিঘীরপাড় বাজারে জমে উঠেছে ভাসমান পাটের হাট।
দেশের বিভিন্ন জেলায় উৎপাদিত পাট বেচাকেনা হয় এই হাটে। ভোর থেকে বসে হাট। পাইকাররা পাট কিনে নিয়ে যান বিভিন্ন জেলায়। দামও সন্তোষজনক বলে মনে করেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। তবে গত বছরের চেয়ে উৎপাদন ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবছর লাভের পরিমাণ কমেছে বলে জানালেন কৃষকরা।
ভোরের আলো ফোটার পর থেকে চাষি ও ব্যবসায়ীরা পাটভর্তি ট্রলার নিয়ে হাজির হন মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পদ্মা নদীর পাড়ে দিঘিরপাড় বাজারে। ট্রলারের ওপরেই চলে কেনাবেচা। সপ্তাহে দুই দিন শুক্র ও সোমবার বসে এ হাট। পাটের মৌসুমে হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে উঠে পদ্মা নদীর পাড়।
বিভিন্ন জেলা থেকে কৃষক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা আসেন এই হাটে। দরদাম করে কেউ পছন্দের পাট কিনছেন, কেউবা কাক্সিক্ষত দামে পাট বিক্রি করছেন। পাইকাররা পাট ক্রয় করে নিয়ে যান নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীসহ বিভিন্ন জেলার কারখানায়। লেনদেন নিয়ে সন্তুষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই। তবে গতবছরের তুলনায় উৎপাদন ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবছর লাভের অংশ কমেছে বলে জানালেন কৃষকরা।
কৃষি কর্মকর্তারা জানালেন, বৃষ্টি না হওয়ায় পানির অভাবে পাটের গুণগত মান বজায় রাখতে পারেননি কৃষক। যার কারণে বাজারমূল্য কিছুটা কম।
তবে দাম কিছুটা বাড়লে কৃষকরা আরো উপকৃত হতেন বলেও জানান তিনি।