পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মুজিববর্ষের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর পলাতক পাঁচ খুনির অন্তত একজনকে দেশে এনে শাস্তির মুখোমুখি করব। এটা এখন জনগণেরও প্রত্যাশা। 

শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ১২ জন খুনির ফাঁসির আদেশ হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৬ জনকে দেশে এনে শাস্তির সম্মুখীন করেছি। একজন তো আগেই মারা গেছেন। বাকি ৫ জনের মধ্যে… আই মাস্ট সে, আমাদের প্রার্থনা ছিল যে মুজিববর্ষের মধ্যে অ্যাট লিস্ট একজনকে দেশে এনে বিচারের সম্মুখীন করা।’

রাশেদ চৌধুরী ও নূর চৌধুরীকে দেশে আনার প্রক্রিয়া ‘বেশ এগিয়েছে’ দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘পাঁচ জনের মধ্যে দুই জনের ঠিকানা আমরা জানি। এটার ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। কিছুটা অগ্রসর হয়েছি। আগে তো কথাই শুনতে চায় নাই, এখন কথা শুনছে।’

মার্কিন সাময়িকী পলিটিকো গত মাসে এক প্রতিবেদনে জানায়, রাশেদ চৌধুরীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার উদ্যোগ নিয়েছে মার্কিন বিচার বিভাগ। এর চূড়ান্ত ফলাফল হিসেবে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে তার রাজনৈতিক আশ্রয় হারাতে পারেন এবং তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে।

সেই প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ইমিগ্রেশন পেয়ে গেছিল, এখন সেটা রিভিউ হচ্ছে। আমরা আশাবাদী, আরেকজনকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘আরেকজনের (নূর চৌধুরী) বিরুদ্ধে আমরা কেইস করেছিলাম। কেইসে আমরা জয়লাভ করেছি। কিন্তু বিভিন্ন অজুহাতে সে দেশের আইনের কারণে যে দেশে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় সে দেশে তারা পাঠাবে না। তাকে সে কারণে তারা এখনও আটকে রেখেছে।’

এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমি এটার জন্য সব বাংলাদেশি, প্রবাসী বাংলাদেশি ও মুক্তিযোদ্ধাদের অনুরোধ করছি, আপনারা একটা সিগনেচার ক্যাম্পেইন করেন। আমরা যদি কয়েক লক্ষ কোটি লোকের সিগনেচার সংগ্রহ করতে পারি, আমেরিকার জন্য, কানাডার জন্য তাহলে আমি সিগনেচার সংগ্রহ করে ওই সরকারকে বলব যে দেখ, এত লোক খুনির বিচার চায়।

তিনি বলেন, ‘তাতে আমাদের অবস্থান শক্তিশালী হয়। আগামী ১৬ ডিসেম্বরের আগে কয়েক লক্ষ সিগনেচার মুখোমুখি সংগ্রহ করতে পারি, তাহলে ইস্যুটা আরও শক্তিশালী হবে। আমি সরকারিভাবে চেষ্টা করছি, এখন আপনাদের জনতার সাহায্য চাই।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে