করোনা কালে অনিয়ম ও দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানে রাজধানীর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও হোটেল সুপার স্টারের সংশ্লিষ্ট নথিপত্র তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব নথিপত্র আগামী ৯ আগস্টের (রোববার) মধ্যে সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।
সোমবার (৩ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সংস্থাটির পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর সই করা পৃথক পৃথক চিঠিতে এসব তথ্য ও রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে।
চিঠিতে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হোটেলে থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন তথ্য ও রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। হোটেল স্টারের কাছে খাওয়ার রেট, এ সংক্রান্ত সম্পাদিত চুক্তিপত্র ও দাখিল করা বিলের কপি চাওয়া হয়েছে।
জানা যায়, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ও অধ্যক্ষ এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগটির সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব তথ্য ও রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে।
মুগদা হাসপাতালের কাছে যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকা-খাওয়া, পরিবহন ও আনুষঙ্গিক ব্যয় সংক্রান্ত ‘কোয়ারেন্টাইন এক্সপেন্স’ খাতে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট মুগদা জেনারেল হাসপাতালের অনুকূলে বরাদ্দ অর্থের বরাদ্দপত্র; কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকা-খাওয়ার রেট সংক্রান্ত হোটেল সুপারসহ অন্যান্য হোটেলের সঙ্গে পত্র, হোটেলের দাখিল করা কোটেশন, থাকা-খাওয়ার রেট সংক্রান্ত চুক্তিপত্রের কপি, হোটেল কর্তৃপক্ষ দাখিল করা বিল ও টাকার পরিমাণ, ব্যাংক স্টেটমেন্টসহ এ সংক্রান্ত নথির নোটশিটসহ যাবতীয় রেকর্ডপত্র।
অন্যদিকে হোটলে সুপার স্টারের কাছে যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকা-খাওয়ার রেট, এ সংক্রান্ত সম্পাদিত চুক্তিপত্র ও দাখিল করা বিলের কপি, গ্রাহকের কাছে ভাড়া দেওয়ার ক্যাটাগরি ও তার বিবরণ এবং থাকা-খাওয়ার রেট ইত্যাদি।
একই অভিযোগে গত ১৩ জুলাই মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও হোটেল-৭১ এর নথি তলব করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতিমধ্যে হোটেল ৭১ থেকেও এ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।