নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। মুক্তিযুদ্ধের এই চেতনা ধরে রাখতে পারলে সব খেলায় বিজয় আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার ২০১৩-২১ প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের পাশাপাশি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশ গঠনে যত প্রতিষ্ঠান দরকার তা গড়ে তোলেন। একইসাথে ক্রীড়াক্ষেত্রে বাংলাদেশ যাতে এগিয়ে যায় সে ব্যবস্থা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চা একটি জাতির জন্য খুবই প্রয়োজন। আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা যাতে খেলাধুলার প্রতি বেশি আগ্রহ হয় সে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খেলাধুলা এগিয়ে নিতে যা যা প্রয়োজন সবকিছু দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি এলাকায় যেন খেলার মাঠ থাকে তার ব্যবস্থা করা হবে। এসময় তিনি জেলা স্টেডিয়ামকে সবধরনের খেলার জন্য উন্মুক্ত করা এবং মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ।
তিনি বলেন, অভিভাবকদের কিছু সময়ের জন্য হলেও সন্তানকে খেলার সুযোগ করে দিতে হবে। কারণ খেলার মধ্য দিয়ে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ হয়।
এসময় পুরস্কারজয়ী সকলকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জাতি গঠনে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। নিয়মিত খেলাধুলা করলে তরুণ সমাজ বিপথে যাবে না।
মোট ৮৫ জন ক্রীড়া ব্যক্তিকে পদক দেওয়া হয়। সময় স্বল্পতার জন্য শুধুমাত্র ২০২০ সালের পদকজয়ীদের মঞ্চে পদক দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ২০২০ সালে নির্বাচিত ৮ জনকে মঞ্চে পদক পরিয়ে দেন। ২০১৩-১৯ সালের নির্বাচিতদের অনুষ্ঠান শুরুর সময় পদক ক্রেস্ট সরবারহ করা হয়। ২০১৩-১৯ সালে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নাম ঘোষণার পর দাঁড়িয়ে পদক ও ক্রেস্ট তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানান।